Advertisement
E-Paper

ক্লাবঘর থেকে জুটমিল শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, রক্তমাখা ইট পড়ে পাশে, ভদ্রেশ্বরে চাঞ্চল্য

প্রতিদিন রাতেই পাড়ার ক্লাবে ঘুমোতে যেতেন জুটমিল শ্রমিক নরেন্দ্র। মঙ্গলবার রাতেও তেমন ঘুমোতে যান। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:১৪
Image of dead labor

ক্লাবঘরে রহস্যমৃত্যু জুটমিল শ্রমিকের। — নিজস্ব চিত্র।

হুগলির ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার অ্যাঙ্গাসে এক জুটমিল শ্রমিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার সকালে অ্যাঙ্গাসের গান্ধী ময়দান লাগোয়া একটি ক্লাবঘর থেকে ৩২ বছরের নরেন্দ্র পাশির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ির লোকেদের দাবি, খুন করা হয়েছে নরেন্দ্রকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।

চাঁপদানির অ্যাঙ্গাস জুটমিলে শ্রমিকের কাজ করতেন নরেন্দ্র। কাজ সেরে প্রতি দিনই গান্ধী ময়দান লাগোয়া একটি ক্লাবে রাতে শুতে যেতেন বলে খবর। মঙ্গলবারেও তেমনই রাতের খাবার খেয়ে ক্লাবঘরে ঘুমোতে চলে যান নরেন্দ্র। তার পর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ নেই। সকাল হয়ে যাওয়ার পরেই নরেন্দ্র না ফেরায় শুরু হয় খোঁজখবর। তাঁর বাবাও অ্যাঙ্গাস জুটমিলে ছেলের সঙ্গেই কাজ করেন। ওই ক্লাবঘরের পাশেই বাড়ি নরেন্দ্রের এক আত্মীয়ের। তিনি ক্লাবে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু বন্ধ দরজা খোলেনি। তার পর তিনিই আরও কয়েক জনকে নিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় ক্লাবের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন নরেন্দ্র। পাশেই পড়ে রয়েছে রক্তমাখা ইট। এর পরেই হইচই পড়ে যায়। চলে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

নরেন্দ্রের বাবা লালচাঁদ বলেন, ‘‘কাল সকালে কাজে যাওয়ার আগে ছেলে রুটি করে বলল, ‘বাবা খেয়ে নাও।’ আমি খাইনি। কাজ করে ঘরে ফিরে আসি। রাত ১০টায় ক্লাবে গিয়ে ছেলেকে দেখতে পাইনি। রাত ১টা পর্যন্ত জেগেই ছিলাম কিন্তু ছেলে আসেনি।’’ নরেন্দ্রের সঙ্গে রাতে ক্লাবে আর কেউ ছিলেন কি না, তা জানা নেই পরিবারের। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, রাতে ক্লাবেই কারও সঙ্গে বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যদিও পুলিশের তরফ থেকে নিশ্চিত করে এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।

Jute Mill Murder police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy