ডেঙ্গি এ বছরে বিশেষ ভোগায়নি হুগলিকে। কিন্তু বছরের শেষ মাসে ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছে এক চিকিৎসকের। স্বাতী দে নামে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের মৃত্যুতে জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে, জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
সিএমওএইচ মৃগাঙ্কমৌলি কর জানান, বর্ষায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। তবে বছরের অন্যান্য সময়ে যে একেবারেই হবে না, এমন নয়। বুধবার জেলায় আক্রান্ত ৭০ জনের আশেপাশে। সর্বাধিক বলাগড় ব্লকে। অধিকাংশই বাড়িতেই চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছেন।
স্বাতীর স্বামী সুস্নাত শল্য চিকিৎসক। তিনি জানান, এসএসকএমের চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছেন, যকৃত (লিভার) বিকল হওয়ার পাশাপাশি কিডনি ও মস্তিষ্কেও সমস্যা শুরু হয়েছিল। তাতে ‘হেমোরেজিক শক’ (অক্সিজেনের অভাব এবং কোষের মৃত্যু) থেকে নানা সমস্যা এবং মৃত্যু। তাঁর কথায়, ‘‘চিকিৎসক হিসাবে যেটুকু জানি, বর্তমানে ডেঙ্গিতে খুব বেশি সমস্যা বিরল। কিন্তু স্ত্রীর ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। দুর্ভাগ্য ছাড়া কী বলব!’’
চিকিৎসক হিসাবে স্বাতীর প্রশংসা করে সিএমওএইচ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি ভাইরাল জ্বর। সাধারণত ‘ফ্লুইডেই’ রোগী সুস্থ হন। কিছু ক্ষেত্রে দেরি বা চিকিৎসায় পদ্ধতিগত ত্রুটিতে সমস্যা হতে পারে। স্বাতী হয়তো অন্যের চিকিৎসার জন্য নিজের শরীর নিয়ে ভাবেননি!’’
সুস্নাত জানান, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে স্বাতীর জ্বর হয়। প্যারাসিটামলে জ্বর না কমায় রক্ত পরীক্ষা করায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে। গত শনিবার দুপুরে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সিসিইউতে সরানো হয়। বাঁচানো যায়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)