Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
পাঁচ দিনেও হামলাকারীরা অধরা, বিক্ষোভ
durga puja

Protest: সপ্তমীতে পাম্পে আক্রান্ত চিকিৎসক, শ্লীলতাহানি

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার সকালে রাজাপুর থানার সামনে বান্ধবী এবং আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ওই চিকিৎসক।

রাজাপুর থানার সামনে সঙ্গীদের নিয়ে চিকিৎসক।

রাজাপুর থানার সামনে সঙ্গীদের নিয়ে চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৫১
Share: Save:

সপ্তমীর রাতে হাওড়ার উলুবেড়িয়ার পিরতলার একটি পেট্রল পাম্পে তেল নিতে ঢুকে কয়েকজন মদ্যপ যুবকের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের এক চিকিৎসক। তাঁর গাড়িতে থাকা বান্ধবী এবং তাঁর দুই বোনের শ্লীলতাহানিও করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরে পাঁচ দিন পার। অভিযুক্তেরা কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে রবিবার সকালে রাজাপুর থানার সামনে বান্ধবী এবং আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ওই চিকিৎসক।

চিকিৎসকের ক্ষোভ, ‘‘ওই পেট্রল পাম্পে সিসি ক্যামেরা আছে। পুলিশ সেই ফুটেজ দেখেই তো তদন্ত করতে পারে। কিন্তু পাঁচ দিনেও কেউ ধরা পড়ল না?’’ জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ের দাবি, ‘‘ঘটনার সব রকম তদন্ত চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযুক্তেরা কেউ ছাড় পাবে না।’’

পুজোয় করোনা বিধি রক্ষা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখা নিয়ে অনেক গালভরা আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা পুলিশের কর্তারা। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে দশমী— ভিড়ের চোটে করোনা বিধি প্রায় কোথাও রক্ষিত হয়নি। পুলিশকেও এ নিয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়নি। এ বার নিরাপত্তার প্রশ্নও সামনে এল।

সপ্তমীর রাতে ওই চিকিৎসক বান্ধবী এবং প্রেমিকার দুই বোনকে নিয়ে গাড়ি করে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের একটি রেস্তরাঁয় খেতে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁরা পিরতলার ওই পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য ঢোকেন। চিকিৎসকের অভিযোগ, সেই সময় তিনটি মোটরবাইকে জনাসাতেক মদ্যপ যুবক এসে তাঁদের গাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি মারে। গাড়িতে থাকা মহিলারা সঙ্গে সঙ্গে জানলার কাচ তুলে দেন। ওই যুবকরা গাড়িতে চড়থাপ্পড়
মারতে থাকে।

চিকিৎসক জানান, গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। সেই সময়ে বান্ধবী ও তাঁর দুই বোন তাঁকে বাঁচাতে গেলে তাঁদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে চিকিৎসকের অভিযোগ। তাঁর ক্ষোভ, চিৎকার-চেঁচামেচি শুনেও পাম্পের কর্মীরা কেউ আসেননি। ছবি তুলতে গেলে ওই যুবকেরা মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তারা গালিগালাজ করতে করতে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক।

ওই ঘটনা নিয়ে পাম্প কর্তৃপক্ষ বা কর্মীদের কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে, স্থানীয় লোকজন প্রশ্ন তুলছেন। পুজোয় যেখানে রাতভর মানুষ রাস্তায় ছিলেন, জাতীয় সড়কের ধারের ধাবা বা রেস্তরাঁগুলি যেখানে খোলা ছিল, সেখানে পথে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেন বিঘ্নিত হবে, সেটাই প্রশ্ন। কারও কারও দাবি, পুজোতে মদ্যপদের দৌরাত্ম্য বাড়ে, এ কথা পুলিশের অজানা নয়। পুজোর রাতে যেখানে মহিলারাও বাইরে বের হন, সেখানে নিরাপত্তার ঢিলেঢালা অবস্থা এই ঘটনায় বেআব্রু হয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

durga puja Protest doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE