Advertisement
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Konnagar Municipality

ভাটপাড়ার উল্টো ছবি, কোন্নগরে দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়ল তৃণমূলের দলীয় অফিস

বুধবার রাতে হুগলি জেলার কোন্নগরের বাগখালে পুরসভার তরফে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জেসিবি মেশিন এনে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ভাঙা হয়। ভাঙা পড়ে তৃণমূলের দলীয় অফিসও।

কোন্নগরে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান।

কোন্নগরে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান। —নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৪ ১৩:১৪
Share: Save:

জবরদখল উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা হল তৃণমূলের দলীয় দফতরও। বুধবার রাতে হুগলি জেলার কোন্নগরের বাগখালে জিটি রোড সংলগ্ন এলাকায় পুরসভার তরফে জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। জেসিবি মেশিন এনে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ভাঙা হয়। পুর কর্তৃপক্ষের তরফে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়, জিটি রোডের যানজট এড়াতেই দখলদার উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার রাত ১১টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে অভিযান। উচ্ছেদ অভিযানের তদারকি করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান স্বপন দাস। সকালে অভিযান না চালিয়ে কেন রাতে অভিযান চালানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উচ্ছেদ হওয়া দোকানদারদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, “জিটি রোড সংলগ্ন রাস্তার উপরে জবরদখল উচ্ছেদের কাজ চলছে। যেহেতু জিটি রোড অন্যতম ব্যস্ত একটি সড়ক, তাই দিনের বেলায় এই কাজ হলে যানজটের সৃষ্টি হতে পারত। সেই কারণে দিনের বেলায় না করে রাতে এই কাজ করা হল।”

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চালানোর বিষয়টি এক মাস আগেই নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল। সেই মোতাবেক শুরু হয় হকার উচ্ছেদ। নোটিস পাওয়ার পরেও যাঁরা ব্যবস্থা নেননি, তাঁদের দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। দোকানদারদের একাংশ জানান, রাতে দোকানের মাল পাহারা দিতে অনেকেই দোকানে শুয়ে থাকেন। সেই সময় অভিযান চলায় বিপাকে পড়েন অনেকে। তবে দোকানিদের একাংশ জানিয়েছে, অভিযানের বিষয়ে তাঁদের এক মাস আগে জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, এর আগে হুগলি জেলার চন্দননগরে উর্দিবাজার এলাকায় দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে ভাঙা পড়েছিল তৃণমূলের দলীয় অফিস। এবার কোন্নগরেও তার পুনরাবৃত্তি হল। কয়েক দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় এই রকমই একটি অভিযানে অক্ষত থেকে গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের দলীয় অফিস। এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। কটাক্ষ করেছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।

উল্লেখ্য, রাজ্যে কিছু দিন আগে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল। কলকাতার একাধিক বাজার এলাকা থেকে দখলদারদের উচ্ছেদ করা শুরু করেছিল প্রশাসন। যার জেরে কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করা যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE