বেতন নিয়ে অস্থায়ী পুরকর্মীদের কর্মবিরতির জেরে হুগলি-চুঁচুড়া শহরে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হল না শুক্রবারেও। তবে, বাড়ি-বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের কয়েকটি গাড়ি (এফওটি) এ দিন বেরিয়েছে। যদিও, গাড়ি বের করতে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ মানেননি আন্দোলনকারীরা। তাঁদের মধ্যে অসীম অধিকারী বলেন, ‘‘এফওটি চালকদের মজুরি রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (সুডা) দেয়। তাই ওঁরা স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দিতে চাইলে আমরা বাধা দেব কেন!’’ পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) এফওটি গাড়িতে কয়েকটি ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের কাজ হয়েছে।’’
অন্যান্য বিভাগের অস্থায়ী কর্মীরা অবশ্য যথারীতি কাজে যোগ দেননি। সকালে পুরভবনের সামনে থেকে হাসপাতাল রোড ধরে ঘড়ির মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। সেখানে সভা হয়। অস্থায়ী কর্মী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই মুহূর্তে তাঁদের দু’মাসের মজুরি বকেয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, চলতি মাসের মধ্যে বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। প্রতি মাসে প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মীকে একই সঙ্গে বেতন দিতে হবে। ৬৫ বছর বয়সে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে অবসর গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই সব দাবিও সভায় তুলে ধরা হয়েছে।’’ পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) বলেন, ‘‘একটু সময় দিলে সকলেরই মজুরি মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)