স্কুলের উন্নয়নের খাতে পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে পারবে না হাওড়ার সরকার-পোষিত কোনও স্কুল। নিয়ে থাকলেও তা ফেরত দিতে হবে। হাওড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক সম্প্রতি জেলার সমস্ত সরকার-পোষিত স্কুলে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়েছেন, কোনও স্কুলই সরকার নির্ধারিত ২৪০ টাকার বেশি নিতে পারবে না পড়ুয়াদের কাছ থেকে। নিয়ে থাকলে তা ফেরত দিতে হবে। ফেরত না দিলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হবে। এ দিকে, হাওড়ার শিক্ষা ভবন থেকে এই নির্দেশ আসার পরেই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত ফি না নেওয়ার দাবিতে গত তিন বছর ধরে যে লাগাতার আন্দোলন হয়েছে, তার জেরেই জেলা স্কুল পরিদর্শক এই নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই হাওড়ার বিভিন্ন সরকার-পোষিত স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিল যে, শিক্ষা দফতরের বারণ থাকা সত্ত্বেও উন্নয়নের খাতে পড়ুয়াদের ভর্তির সময়ে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। অথচ, শিক্ষা দফতর আগেই জানিয়েছিল, কোনও স্কুলই পড়ুয়াদের কাছ থেকে ২৪০ টাকার বেশি নিতে পারবে না। কিন্তু সেই নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। তাই শেষে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার সরকার-পোষিত সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাকে এই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সৌমেন মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘গত তিন বছর ধরে আমরা হাওড়ার স্কুল পরিদর্শককে নানা তথ্য দিয়ে আসছি। লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছি। আমাদের আন্দোলনের জন্যই শুধুমাত্র হাওড়া জেলায় স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’’
এসএফআইয়ের বক্তব্য, তাদের আন্দোলন এখানেই থেমে থাকবে না। রাজ্যের স্কুলগুলিতে অজস্র শূন্য পদ রয়েছে। সেখানে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানাবে তারা।
পাশাপাশি, অনেক স্কুল তুলে দেওয়ার যে ‘চক্রান্ত’ চলছে, তা বন্ধ করতে হবে। আগামী ৮ এপ্রিল এই সমস্ত দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে হাওড়ার জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কমর্সূচি নেওয়া হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)