যানজটের সমস্যা লেগেই রয়েছে হুগলির সদর শহর চুঁচুড়ায়। লোকসংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টোটো-সহ সব ধরনের যানবাহন। কিন্তু শহরের সঙ্কীর্ণ রাস্তাঘাটে ঠেকানো যায়নি যত্রতত্র পার্কিং। এই পরিস্থিতিতে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ‘পার্কিং জ়োন’ করতে উদ্যোগী হল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা।
পুরসভা সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় ‘পার্কি জ়োন’ করা হবে। আপাতত চার জায়গায় তা করা হচ্ছে। এ থেকে আর্থিক ভাবে ধুঁকতে থাকা পুরসভার নিজস্ব আয়ের রাস্তাও খুলবে।
পুর পারিষদ (পূর্ত) সৌমিত্র ঘোষ জানান, আপাতত চার জায়গায় ওই কাজ করার জন্য চারটি ঠিকা সংস্থা বরাত পেয়েছে। ওই পাঁচ ‘পার্কিং জ়োন’ থেকে পুরসভার বার্ষিক প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় হবে। শীঘ্রই বাকিগুলির বরাত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ চালু করে দেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ব্যান্ডেল চার্চ, হুগলি গার্লস হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা, চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ড, খাদ্যভবন সংলগ্ন এলাকা এবং মাঠের ধার— প্রথম দফায় এই পাঁচ জায়গায় ‘পার্কিং জ়োন’ তৈরিতে দরপত্র ডাকা হয়েছিল। মাঠের ধারে তিন কিংবা তার বেশি লোক আবেদন না করায় প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে। শীঘ্রই ওই এলাকা, লঞ্চঘাট চত্বর এবং আরও কয়েকটি জায়গার জন্য বরাত ডাকা হবে। সব ক'টির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই পার্কিং ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। ফের যদি বরাত প্রক্রিয়া বাতিল হয়? সৌমিত্র বলেন, ‘‘সে ক্ষেত্রে আগের চারটি চালু করে দেওয়া হবে।’’
ব্যান্ডেল চার্চে বছরভর পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তাঁরা চার্চের সামনে কিংবা উল্টো দিকের রাস্তার পাশে সাইকেল, বাইক, গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখেন। চার্চ নিয়ন্ত্রিত দু’টি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনেও সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে স্কুল চলাকালীন ওই রাস্তায় যানজটে নাকাল হন বহু যাত্রী। এখানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে বলে আশাবাদী মানুষজন।
তবে ঘড়ির মোড়ের আশপাশে কবে ওই ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের। কারণ, ওই মোড়কে কেন্দ্র করে শহরের মূল বাজার বসে। রয়েছে বহু রেডিমেড দোকান, শপিং মল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজার। পাশেই জেলা আদালত, থানা, জেলাশাসক ভবন, পুলিশ লাইন থেকে জেলা পরিষদ-সহ নানা অফিস। ওই এলাকায় ‘পার্কিং জ়োন’ না-থাকায় মানুষ যেখানে-সেখানে যানবাহন রেখে কাজ সারেন। ফলে, শহরের রাস্তা আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে ওঠে। অনেক সময়েই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায় পুলিশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)