E-Paper

গ্রামে কাজে গতি বাড়াতে কড়া বার্তা জেলাশাসকের

প্রশাসন সূত্রে খবর, চুঁচুড়া-মগরা, তারকেশ্বর, খানাকুল ১ ও ২ ব্লকের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪ ০৮:৪৯
জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক। হুগলি জেলা পরিষদ সভাগৃহে।

জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক। হুগলি জেলা পরিষদ সভাগৃহে। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নানা কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে তিনি সতর্ক করেছেন প্রশাসন এবং পুরসভার কর্তাদের। এ বার পঞ্চায়েতের কাজে গতি আনতে তৎপর হল হুগলি জেলা প্রশাসন। শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডেকে এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য।

শুক্রবার জেলা পরিষদের সভাকক্ষে জেলাশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অদিতি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, সহ-সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, জেলার চার মহকুমাশাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরাও ছিলেন।
উন্নয়ন বা পরিষেবার বাকি থাকা
কাজ, কেন বাকি আছে তার কারণ, কী করা প্রয়োজন তা নিয়ও বৈঠকে আলোচনা হয়। সরকারি সম্পত্তি যাতে বেহাত না হয়, তার উপরে জোর দেওয়া হয়।

প্রশাসন সূত্রে খবর, চুঁচুড়া-মগরা, তারকেশ্বর, খানাকুল ১ ও ২ ব্লকের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এর মধ্যে চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের সিংহভাগ পঞ্চায়েতের কাজ নিয়েই অখুশি তাঁরা। কাজে গতি আনতে সংশ্লিষ্ট বিডিওদের ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কী কী কারণে কাজে জটিলতা হচ্ছে, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য চাওয়া হয়। অভিযোগ ওঠে, খানাকুল ১ ব্লকে তৃণমূলের এক নেতার অনুগামীদের জন্য দরপত্র হলেও উন্নয়নের কাজ করা যায়নি। পুরশুড়ায় কাজ থমকানোর নেপথ্যে শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের চাপের কথা উঠে আসে। কাজের গতি শ্লথ হওয়ার পিছনে খানাকুল ১ ব্লকে বিজেপির এক জনপ্রতিনিধির নামও ওঠে।

সব শুনে রাজনৈতিক বা দফতরগত সমস্যা কাটাতে প্রয়োজনে প্রশাসনের তরফে হস্তক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়। কাজের নিরিখে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েতের নাম ধরে ধরে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এর পাশাপাশি কাজে অগ্রগতির জন্য জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা ১ ও ২ ব্লক জেলা প্রশাসনের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, পঞ্চায়েত এলাকায় জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি বা পঞ্চায়েতের জমি কোনও ভাবেই দখল হতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’ সুরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। বৈঠকে ডেঙ্গি মোকাবিলাকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়।

প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি ১০টি ব্লকে এক জন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়, ডেঙ্গিতে যাতে কারও মৃত্যু না হয়, সেটাই তাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই তৎপরতার সঙ্গে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজ করতে হবে। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামে সাফাই অভিযান ব্যাহত হচ্ছে ধরে নিয়ে ডেঙ্গি মোকাবিলায় ‘কর্মশ্রী’র মতো কোনও বিকল্প প্রকল্প ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বর্তমানে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত মিলিয়ে প্রায় ৭০০ পদ খালি। তার মধ্যে রয়েছে সচিব, নির্মাণ সহায়ক-সহ নানা পদ। এই বিষয়েও এ দিন আলোচনা হয়। বিষয়টি নবান্নের গোচরে আনা হবে বলে ঠিক হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Development Work

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy