Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Hooghly Heavy rainfall

বেহাল নিকাশিতে ভুগছে হুগলিও

হুগলিতে বেশি বৃষ্টি বা ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্রতি বছরই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয় আরামবাগ। কারণ, ভৌগোলিক ভাবে নিচু এই মহকুমা বন্যাপ্রবণ।

দ্বারকেশ্বর নদের ঘাট যাতায়াতের  ঢালাই রাস্তা টপকে জল যাচ্ছে। গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের জগৎপুর এলাকায়।

দ্বারকেশ্বর নদের ঘাট যাতায়াতের ঢালাই রাস্তা টপকে জল যাচ্ছে। গোঘাটের বালি পঞ্চায়েতের জগৎপুর এলাকায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৬
Share: Save:

কী শহর, কী গ্রাম— বৃষ্টিতে নানা এলাকায় বেহাল নিকাশির জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে হুগলিতে। শ্রীরামপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দীর মাঠ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের লাহিড়ী পার্ক লাগোয়া এলাকায় জল দাঁড়িয়েছে রাস্তায়।
পুর-পারিষদ (জঞ্জাল) পিন্টু নাগ জল দ্রুত বের করার চেষ্টার আশ্বাস দিয়েছেন।

পুরপ্রধান গিরিধারী সাহার দাবি, ‘‘আগেও ওখানে জল জমছিল। নিকাশি নালা সংস্কার করে সমাধান করা হয়। ফের কেন জল দাঁড়াচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে কারণ খুঁজে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

জলমগ্ন উত্তরপাড়া, হিন্দমোটরের কয়েকটি ওয়ার্ডও। কাঁঠালবাগানের কাছে পাম্প লাগিয়েছে পুরসভা।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানকল গলি এলাকায় সেই জল রাস্তা ভাসিয়ে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

হুগলিতে বেশি বৃষ্টি বা ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্রতি বছরই প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয় আরামবাগ। কারণ, ভৌগোলিক ভাবে নিচু এই মহকুমা বন্যাপ্রবণ। শনিবার
বিকেলে জেলাশাসক মুক্তা আর্য খানাকুলের ঘোষপুর পঞ্চায়েতে বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া, মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই, সাংসদ মিতালি বাগ, বিডিও এবং জনপ্রতিনিধিরা। জেলাশাসক সব দফতরকে সজাগ এবং পরিস্থিতি
দ্রুত মোকাবিলার বার্তা দেন। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীরও নিশ্চয়তা দেন। বৈঠক শেষে জেলাশাসক ময়াল বাস স্ট্যান্ড পরিদর্শনে যান। সেখানে দ্বারকেশ্বরে সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন খালের জল উপচে এসেছে।

হরিপাল, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন এলাকাতেও জল জমেছে। জাঙ্গিপাড়া থেকে রাজবলহাট
যাওয়ার একটি রাস্তা ডুবে যাওয়ায়
যান চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সন্ধ্যায় টর্নেডো হানা দেয় তারকেশ্বর ও ধনেখালির একাংশে। পুলিশ জানায়, হতাহতের খবর নেই। ১০-১৫টি গাছ ভেঙেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৪-৫টি বাড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চন্দননগরের কলুপুকুরে একটি পুরনো তেতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বলাগড়ের বেশ কিছু পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। প্রশাসন তাদের খাবারের ব্যস্থা করেছে। বেহাল নিকাশিতে ভুগছে পান্ডুয়াও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE