ফাইল চিত্র।
রাস্তার খানাখন্দ অবিলম্বে সারিয়ে ফেলতে এ বার ‘র্যাপিড অ্যাকশন টিম’ বা ‘র্যাট’ গঠন করছে হাওড়া পুরসভা। পুর এলাকার বাসিন্দারা ভাঙা রাস্তা নিয়ে কোনও অভিযোগ জানালেই তা খতিয়ে দেখে সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। একই সঙ্গে কোনও এলাকা থেকে বেআইনি বাড়ি তৈরির অভিযোগ এলেও পুরসভার বিল্ডিং দফতরের আধিকারিকদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বুধবার হাওড়া পুরসভার তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয়েছে ‘চেয়ারপার্সন অন কল’। সেই অনুষ্ঠান শুরু হতেই এ দিন ফোনে ডেঙ্গি, বেআইনি বহুতল ও বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে একের পর এক ফোন এসেছে পুর আধিকারিকদের কাছে। পরে প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী জানান, বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মোট ৩২টি ফোন এসেছে। পুরসভার এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন মানুষ।
চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘এ দিন রাস্তাঘাটের খানাখন্দ নিয়ে অনেক প্রবীণ মানুষ ফোন করেছেন। রাস্তা সারানোর জন্য আমরা একটি ‘র্যাপিড অ্যাকশন টিম’ তৈরি করছি। রাস্তার ছোটখাটো খানাখন্দ দ্রুত সারিয়ে ফেলতে এই দল কাজ করবে। সরকারি ফাইল চালাচালির টানাপড়েন এড়িয়ে রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুত সারতেই এই দলটি গঠন করা হয়েছে।’’
এ দিন চেয়ারপার্সন অন কলে সব থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। এ বিষয়ে চেয়ারপার্সন পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভার বিল্ডিং দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ নথিভুক্ত করার পরে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত কাজ বন্ধের নোটিস দিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ শুধু নয়, জানা গিয়েছে, যাঁরা বেআইনি বাড়ি বানাচ্ছেন, তাঁরা নকশায় বাড়ির নীচের তলায় গ্যারাজ দেখিয়ে পরে তা দোকান হিসাবে চড়া দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এটা বন্ধ করতে হবে। কারণ এতে পুরসভা রাজস্ব হারাচ্ছে।’’
পুর কোষাগারের দুরবস্থা ঘোচাতে এ দিন সার্ভে দফতর ও বিল্ডিং দফতরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কর্তৃপক্ষের। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পার্কিং ও সম্পত্তিকর আদায়ে বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। কারণ, অভিযোগ এসেছে, ওই দু’টি দফতরের যা আয় হওয়া উচিত, তার চেয়ে অনেক কম হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy