E-Paper

ফুরফুরায় অশান্তির প্রতিবাদে পথে আইএসএফ-সিপিএম

শনিবার বিকেলে ফুরফুরা অঞ্চল আইএসএফ ও সিপিএমের ডাকে ‘ধিক্কার মিছিল’ হয় উজলপুকুর মোড় থেকে তালতলা হাট পর্যন্ত। তালতলা হাটে পথসভা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৩১
ফুরফুরায় এইএসএফ ও সিপিএমের ধিক্কার মিছিল।

ফুরফুরায় এইএসএফ ও সিপিএমের ধিক্কার মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার তেতে উঠেছিল জাঙ্গিপাড়া ব্লকের ফুরফুরা। ওই ঘটনায় ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর বাড়িতে পুলিশের ‘হামলা’, পুলিশ-প্রশাসনের মদতে ফুরফুরা পঞ্চায়েতে অনৈতিক ভাবে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের অভিযোগ তুলেছে আইএসএফ এবং সিপিএম। ওই অভিযোগে শনিবার তারা এখানে মিছিল এবং সভা করল। গোলমালের জন্য আইএসএফকে দায়ী করেছে তৃণমূল।

শনিবার বিকেলে ফুরফুরা অঞ্চল আইএসএফ ও সিপিএমের ডাকে ‘ধিক্কার মিছিল’ হয় উজলপুকুর মোড় থেকে তালতলা হাট পর্যন্ত। তালতলা হাটে পথসভা হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিএম নেতা আব্দুল হাই, আইএসএফের হুগলি জেলা সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা। তবে, বিধায়ক নওসাদ ছিলেন না।

লক্ষ্মীকান্তের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ফুরফুরা পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করছে। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা তো বটেই, পুলিশের আক্রমণ থেকে পিরজাদারাও বাদ পড়েননি। আমাদের দলের বিধায়কের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুরফুরায় এসে ক্ষমা চান।’’ ওই আইএসফ নেতা আরও জানান, আগামী ১৬ তারিখ হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপারের অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। সিপিএম নেতা আব্দুল হাই বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের তৃণমূল পুলিশকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসের যে বাতাবরণ তৈরি করেছে, তার প্রতিবাদেই আমাদের এই কর্মসূচি।’’

রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাসিশ চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘হাই কোর্টের তরফে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ ছিল না। নিয়ম মেনেই বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ভাঙড়ের মতো ফুরফুরাতেও আইএসএফ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ঘটনার যথাযথ পদক্ষেপ করবে।’’

হাই কোর্টের নির্দেশ উড়িয়ে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠন করছে, এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার আইএসএফের লোকেরা ফুরফুরা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তালা ভেঙে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং তৃণমূলের জয়ী সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকিয়ে দেয়। বোর্ড গঠনের পরেই পরিস্থিতি তপ্ত হয়। পুলিশের অভিযোগ, আইএসএফের লোকেরা তিন দিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাল্টু হালদার-সহ ১১ জন পুলিশকর্মী জখম হন। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়। আইএসএফের লোকেরা আগের রাত থেকে বোমাবাজি করে বলে তৃণমূল অভিযোগ তোলে।

আইএসএফের পাল্টা বক্তব্য, পুলিশ বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। নওসাদের বাড়িতেও কাঁদানে গ্যাস, ইট ছোড়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে নওসাদের বচসা হয়। নওসাদের অভিযোগ উড়িয়ে পুলিশের দাবি, বিধায়ক-সহ কয়েক জন পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে। পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

jangipara TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy