পঞ্চায়েত ভোটে আরামবাগ মহকুমায় আইএসএফের প্রার্থী আছেন মাত্র তিন জন। শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আরামবাগের মুথাডাঙায় নেমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির জন্যই তাঁরা সে ভাবে প্রার্থী দিতে পারেননি। অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
গাড়িতে যাওয়ার পথে মুথাডাঙায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে নেমেছিলেন নওশাদ। শেখপাড়ায় একটি মসজিদে প্রার্থনাতেও যোগ দেন। সেখান থেকে মুথাডাঙা বাস স্ট্যান্ডে এসে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আরামবাগের ৬টি ব্লকেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে এবং আত্মীয়দের বাড়িতেও গিয়েও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যেও যে চার জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের একজনকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়েছে।”
আরামবাগ মহকুমায় আইএসএফের তিন প্রার্থীর মধ্যে একজন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতিতে, বাকি দু’জন আরামবাগের মায়াপুর ১ পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নওশাদের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি পলাশ রায় বলেন, “উস্কানিমূলক কথা বলতেই নওশাদের আরামবাগে নামা। তাতানোর চেষ্টা করলেও কিছু হবে না। মনোনয়নে কাউকে কোথাও বাধা দিইনি। হুমকিও দেওয়া হয়নি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)