পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র।
আবাস নিয়ে অভিযোগের তদন্তে আসা কেন্দ্রীয় দলকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠল খানাকুল-২ ব্লকের মাড়োখানা পঞ্চায়েতে। বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, ওই কাজে কেন্দ্রীয় দল খুশি।
আবাস প্লাসের প্রকৃত উপভোক্তা বাছাইয়ে গরমিল হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই পঞ্চায়েতের ঢলডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সরোজ সাউ। উপভোক্তার তালিকায় তাঁর নাম নেই। সেই অভিযোগের তদন্তেই শনিবার মাড়োখানায় আসে ওই মন্ত্রকের দুই সদস্যের প্রতিনিধি ঢল।
শনিবার সরোজের বাড়ির অবস্থা দেখেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। রবিবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই বাকি বাড়িগুলি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সরোজের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের ভুল বাড়ি দেখিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন বিডিও এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁর খেদ, ‘‘অভিযোগকারী হওয়া সত্ত্বেও প্রথমে পরিদর্শনের সময়ে আমাকে সঙ্গে যেতে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পরে যখন যাওরা অনুমতি মেলে ততক্ষণে পরিদর্শন শেষ।’’
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “প্রথমত, কেন্দ্রীয় দল নিজেদের নির্দিষ্ট করা বাড়িগুলিই দেখেছে। বিভ্রান্ত করার কোনও প্রশ্নই নেই। ওই গ্রামবাসীকে আটকানোও হয়নি। সর্বোপরি, কেন্দ্রীয় দল তাঁর অভিযোগের কোনও সত্যতা পায়নি। কেন্দ্রীয় দল আমাদের কাজে খুশি।” একই দাবি মাড়োখানা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ আব্বাসেরও।
কেন্দ্রীয় দলের তদন্ত যথাযথ হয়নি দাবি করে সরোজ বলেন, ‘‘আমাকে রিপোর্ট পাঠাবে বলে জানিয়ে দলটি। সে রিপোর্টেও গরমিল থাকলে এই দল প্রভাবিত হয়ে কাজ করেছে বলে ফের কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকেঅভিযোগ জানাব।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাড়োখানা পঞ্চায়েতে আবাস প্লাসে প্রথমে মোট তালিকাভুক্ত ছিলেন ১০৭৯ জন। ব্লক প্রশাসন তদন্ত করার পরে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৫৩৩ জনে। তারপরেও গ্রাম সংসদ থেকে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার পরে এখন উপভোক্তা হয়েছেন ৫১২ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy