শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে রাতের অন্ধকারে একাধিক দোকান ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র।
আবাসন প্রকল্পের জন্য শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি পুরনো বাড়ি কিনেছিলেন এক প্রোমোটার। সেখানে আগে থেকেই কিছু দোকানপাট ছিল। সেই দোকানগুলো রাতের অন্ধকারে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওই প্রোমোটার বরুণ পাঁজার বিরুদ্ধে। তাঁর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও বরুণ এ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, শ্রীরামপুর স্টেশনের পশ্চিম পাড়ে কুমিরজলা রোডের পাশে একটি আবাসন নির্মাণ শুরু করেন বরুণ। যে জায়গায় আবাসন তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে বেশ কিছু দোকান রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই বাড়িওয়ালাকে ভাড়া দিয়ে দোকানদারেরা ব্যবসা করছেন। কিন্তু বাড়িওয়ালা তাঁদের কাউকে কিছু না জানিয়ে বরুণের কাছে ওই বাড়ি বিক্রি করে দেন। পরে ব্যবসায়ীরা জানতে পারায় তা নিয়ে মামলা রুজু হয়। এর মধ্যে প্রমোটারের লোকজন দোকানগুলিকে রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে। দোকানের চাল ভেঙে যাওয়ায় বর্ষার জল ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে বলেও সোমবার রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ীরা।
বরুণ যদিও দাবি করেছেন, তিনি পুরসভার অনুমতি নিয়ে বাড়ি ভেঙেছেন। কোনও দোকান ভাঙেননি। শ্রীরামপুর পুরসভা যদিও ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুরসভার তরফে ওই ব্যবসায়ীদের ত্রিপল দেওয়া হয়েছে। এলাকায় কোনও বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্তোষ সিংহ। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতিও এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy