E-Paper

নিকাশি নালা জবরদখল দখল করে নির্মাণ, নালিশ

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বনস্পতি খাল থেকে করাতবেড়িয়া মৌজার মাঠের ও গ্রামের জল নিকাশির জন্য একটি নিকাশি খাল আছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩৭
নিকাশি খালের উপরে হচ্ছে নির্মাণ। উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়ায়।

নিকাশি খালের উপরে হচ্ছে নির্মাণ। উলুবেড়িয়ার করাতবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র।

নিকাশি খালের উপর ‘অবৈধ’ ভাবে নির্মাণ তৈরির অভিযোগ জানালেন উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বাণীবন পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। তাঁদের ক্ষোভ, প্রশাসনের সমস্ত জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও বন্ধ হচ্ছে না কাজ। পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার বনস্পতি খাল থেকে করাতবেড়িয়া মৌজার মাঠের ও গ্রামের জল নিকাশির জন্য একটি নিকাশি খাল আছে। তাতে স্লুইল গেটের মাধ্যমে জল ওঠানামা করে। সম্প্রতি রাজাপুর সবিতা বক্তা স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ওই নিকাশি খালের ওপর নির্মাণ কাজ চলছে। এক বাসিন্দার ক্ষোভ, ‘‘অনিমেষ বোদক নামে একটা ছেলের নেতৃত্বে এই কাজ চলছে। খালের উপর দোকান ঘর তৈরি পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে নিকাশির জল বেরোতে সমস্যা হবে।’’

স্থানীয় তৃণমূল নেতা ক্ষিপ্রদীপ মণ্ডল নির্মাণের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘বর্ষাকালে এলাকা ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিক বার জানানো হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা ও বাণীবন পঞ্চায়েতের সদস্য সুব্রত বেরা। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল সরকারের আমলে একাধিক জায়গায় খাল-নদী ভরাট করে নির্মাণ কাজ চলছে। সে সব তৃণমূল দেখতে পায় না। এখানে নেতাদের সঙ্গে পুলিশের ভাগাভাগি কম হয়েছে। তাই তৃণমূল এই নির্মাণ বন্ধে এতটা উৎসাহ দেখাচ্ছে।’’

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই অনিমেষ বোদকের অবশ্য দাবি, ‘‘খালের উপর সকলেই দোকান ঘর করেছেন। আমি বরং জল যাওয়ার জন্যে জন্য ফাঁকা রেখেছি।’’

স্থানীয় বাণীবন পঞ্চায়েতের প্রধান সত্যজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই ব্যক্তিকে নোটিস পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তারপরেও কেন সেটা হয়নি, খোঁজ নেওয়া হবে।’’

উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে রাখা হচ্ছে। নিকাশি খাল বন্ধ করে কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। যেগুলো হয়েছে, সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে।’’

আর হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক জানান, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Uluberia

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy