‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রথম দিনে হুগলিতে এগিয়ে রইল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। নতুন প্রকল্প বার্ধক্য ভাতা (সর্বজনীন)-ও ভাল সাড়া পেয়েছে। তবে নতুন যোগ হওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নাম নথিভুক্তিকরণে তেমন সাড়া মিলল না দুই জেলাতেই।
হুগলি জেলা প্রশাসনের হিসাবে শুক্রবার সপ্তম দফার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির প্রথম দিনে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ আবেদন পড়েছে ৫ হাজার ৬৫২টি। মোট ৩৫টি প্রকল্পে আবেদনের নিরিখে এটাই প্রথম স্থানে। সর্বজনীন বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে ৫ হাডার ১২৯টি আবেদন পড়েছে। সে জায়গায় পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্তকরণে আবেদন
পড়েছে ৪৪৩টি। জনপ্রিয়তার বিচারে এটি নবমে।
যদিও জেলার উপ-শ্রম কমিশনার ত্রিদিবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আবেদনের সংখ্যা যত দিন যাবে তত বাড়বে বলেই আমরা নিশ্চিত। এ দিন অধিকাংশ মানুষ আবেদনপত্র নিয়ে গিয়েছেন।” জেলা শ্রম দফতর সূত্রে খবর, জেলার মধ্যে আরামবাগ মহকুমার ৬টি ব্লকে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ দিন মহকুমায় মোট আবেদন পড়েছে মোট ১২৩টি। প্রায় সম সংখ্যক আবেদনপত্র তুলে নিয়ে গেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিজনরা।
গোঘাটের পুকুরিয়া গ্রামের রকি মণ্ডল বলেন, “দাদা মুম্বইতে সোনার কাজ করে। আবেদন তুলে নিয়ে গেলাম। এটা শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য ভান্ডার তৈরি করার লক্ষ্যেই, না কি সত্যি সত্যি কিছু সহায়তা পাওয়া যাবে তা বোঝা মুশকিল।”
এ দিন পান্ডুয়া ব্লকের সিমলাগড়-ভিটাসিন পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারানি বিদ্যালয়ে আয়োজিত শিবিরে শ্রম দফতরের শিবিরে মোট ৩১ জন পরিয়ায়ী শ্রমিক নাম নথিভুক্ত করেছেন বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর। সিমলাগড়ের পরেশ রায় নামে বছর বাষট্টির এক বৃদ্ধ বার্ধক্য ভাতা পাওয়া নিয়েও সন্দিহান। তিনি বলেন, ‘‘বছর খানেক ধরে আবেদন করে চলেছি। এখনও পাইনি। এ বার পাওয়া যা কি না দেখি।’’
হাওড়া জেলার শিবিরেও বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন পড়েছে সবথেকে বেশি। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নাম তোলার জন্যও আগ্রহ ছিল। তবে বেশির ভাগই এসেছিলেন এ বিষয়ে জানতে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কিছু আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)