জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো।
দুই নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আসছেন বিরোধীরা। এ বার হুগলির জাঙ্গিপাড়া এবং শেওড়াফুলির ঘটনায় একই সুর শোনা গেল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর গলায়। পুলিশ তাঁকে কোনও রকম তথ্য দিয়েও সহায়তা করেনি বলেও অভিযোগ করেছে তিনি। দু’টি ঘটনার তদন্তভারই অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন প্রিয়াঙ্ক। জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যানের এই মন্তব্যে অবশ্য রাজনীতি দেখছে শাসক শিবির। পুলিশের তরফেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শুক্রবার প্রথমে জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকায় মৃতার বাড়ি যান প্রিয়াঙ্ক। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেখানে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা রওনা দেন শেওড়াফুলির মৃত নাবালিকার বাড়ির উদ্দেশে। সেখানে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। প্রিয়াঙ্কের অভিযোগ, তাঁকে আধ ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মৃতার বাড়িতে পৌঁছতে পারেন তাঁরা। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান যান শ্রীরামপুরে মহকুমাশাসকের দফতরে। সেখানে তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বাইরে বেরিয়ে এসে প্রিয়াঙ্কের অভিযোগ, সঠিক সময় এফআইআর ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জমা পড়েনি। দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্তে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।’’ তিনি জানান, পুলিশি তদন্তে গাফিলতির বিষয়টি রিপোর্ট আকারে তৈরি করে দিল্লি ফিরে তা জমা দেবেন। প্রিয়াঙ্ক এ-ও বলেন, ‘‘প্রয়োজনে রাজ্য পুলিশের থেকে তদন্তভার অন্য কোনও এজেন্সিকে দিয়ে করানো হোক।’’
কমিশনের চেয়ারম্যানের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ডিএসপি (হুগলি গ্রামীণ) নিমাই চৌধুরী বলেন, ‘‘জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দিক থেকে কোনও গাফিলতি নেই। সেটা মৃতের পরিবার জানে। এলাকার লোকও জানেন। যে তথ্য কমিশন চেয়েছে, সেটা আগে বলা হয়নি বলেই আমরা সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারিনি।’’
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘কোনও ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। এই ঘটনার ক্ষেত্রেও পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। কোনও এজেন্সি বা কমিশন এই ধরনের ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আসতেই পারেন। তবে বিজেপির এক জন নেত্রীকে নিয়ে চেয়ারম্যান ঘুরছেন মানে এটা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। সরকার কখনওই চায় না এই ধরনের ঘটনা ঘটুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy