E-Paper

আদালতে রিপোর্ট দিতে হাওড়ার ভাগাড় পরিদর্শন

জাতীয় পরিবেশ আদালতে বেলগাছিয়া ভাগাড় সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতকে বর্তমান ভাগাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে শনিবার সেখানে যান ওই পরিবেশকর্মী। পরে তিনি জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে ওই ভাগাড় এলাকায় যাতায়াত

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৭:৫৫

—ফাইল চিত্র।

শহরে জনবসতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে জঞ্জাল। কিন্তু জমির পরিমাণ কমেছে ভাগাড়ের। অথচ, আইন মেনে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনও পরিকল্পনাই করেনি প্রশাসন। যার ফলে হাওড়া জুড়ে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি, বেলগাছিয়া এলাকা জুড়ে ভূমিধসের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে রাজ্য বা হাওড়া পুরসভা পারবে না। এর জন্য আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের এনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। পরিবেশ আদালতের নির্দেশে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এমনই মতামত দিয়েছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।

জাতীয় পরিবেশ আদালতে বেলগাছিয়া ভাগাড় সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতকে বর্তমান ভাগাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট দিতে শনিবার সেখানে যান ওই পরিবেশকর্মী। পরে তিনি জানান, ১৯৯৪ সাল থেকে ওই ভাগাড় এলাকায় যাতায়াত আছে তাঁর। পরিবেশ আদালতে মামলা করেছেন। বার বার আদালত বিকল্প ভাগাড়ের নির্দেশ দিয়েছে। সুভাষের অভিযোগ, সেই নির্দেশ হাওড়া পুরসভা না মানায় বর্তমানে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই অবস্থা যে হবে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। জলের পাইপলাইনে বিস্ফোরণের জেরে এখানকার ভূমিস্তর ভঙ্গুর হয়ে গিয়েছে। তাই এত বাড়ি পড়েছে। এখনও রাতে মিথেন গ্যাসের জন্য আবর্জনার পাহাড়ে আগুন লেগে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষণই কেবল হচ্ছে না, দেখলাম, ভাগাড়ের পাশের খোলা নর্দমায় মানুষের মল ভাসছে।’’ ওই পরিবেশকর্মী জানান, এই সমস্ত তথ্য এবং ছবি তিনি পরিবেশ আদালতে জমা দেবেন এবং ওই ভাগাড়টি যাতে আর চালু না হয়, সেই ব্যাপারে আবেদন জানাবেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Howrah garbage dump National Green Tribunal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy