স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ৭০ বছরের পুরনো হুগলির হিন্দমোটর হাই স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করতে যান অভিভাবকরা। কিন্তু প্রিন্সিপাল দেখা না করতে চাওয়ায় স্কুলের দরজায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবরোধ করেন বিড়লা রোড। অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রিন্সিপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এক সময় এই স্কুলে প্রায় ২ হাজার ৩০০ ছাত্রছাত্রী ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে অ্যাম্বাসেডর কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে অনেক শ্রমিক অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। ফলে এই মুহূর্তে সেখানে ৭০০ জন পড়ে। মূলত হিন্দমোটর, কোন্নগর, উত্তরপাড়া, বালি প্রভৃতি এলাকা থেকে পড়ুয়ারা আসে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনে হিন্দমোটর হাই স্কুলে হিন্দি ও ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়।
অনেক দিন ধরে লোকসান হওয়ায় স্কুল চালাতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। তাই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার বিরোধিতা শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। যারা স্কুলে পড়ে তাদের কী হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হিন্দমোটরে তাঁদের আরও একটি স্কুল রয়েছে। সেটি আইসিএসই বোর্ডের অধীনে। সেই স্কুলে সবাইকে ভর্তি করে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই স্কুলে পড়ার খরচ বেশি হওয়ায় সব পড়ুয়া ভর্তি হতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অভিভাবকদের দাবি স্কুল যেন কোনও অবস্থাতেই বন্ধ না হয়।
অভিভাবকদের এই আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য অভিভাবকদের সঙ্গে গিয়ে প্রিন্সিপাল নীতু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। হিন্দমোটর হাইস্কুলে পড়েছেন উত্তরপাড়ার পুর প্রশাসক দিলীপ যাদব ও তাঁর দাদা আচ্ছেলাল যাদব। তাঁরাও জানিয়েছেন, স্কুল যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য সরকারি স্তরে আলোচনা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy