গত কয়েক দিনে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে স্বাস্থ্য দফতর। ভাইরাসের হানাদারিতে জনজীবনে ফের বেড়ি পরবে কি না, মেহনতি মানুষ কাজ হারাবেন কি না, স্কুলে আবার তালা পড়বে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিন দুই জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলি দেখে অবশ্য সম্ভাব্য ‘বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি বোঝার উপায় ছিল না। যাবতীয় বিধি উপেক্ষা করে এক শ্রেণির মানুষ ভিড় করে হুল্লোড়ে মাতলেন। সেই ভিড় অকুতোভয়, বেপরোয়া। মাস্ক পরা, দূরত্ববিধি রক্ষার বালাই নেই।
পরিস্থিতি দেখে চিকিৎসকদের একাংশ উদ্বিগ্ন। তাঁদের বক্তব্য, সমাজের কথা ভেবে প্রত্যেক নাগরিককে সতর্ক হতে হবে। না হলে ফের করোনায় ভোগান্তি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্থবির অবস্থা ফিরতে পারে।
শনিবার, বছরের পয়লা তারিখে হাওড়ার মহিষরেখায় গিয়ে দেখা গেল, দামোদরের পাড়ে বনভোজনের দলের থিকথিকে ভিড়। কার্যত কেউই মাস্ক পরে নেই। দূরত্ববিধি উধাও। একই অবস্থা ফুলেশ্বর সেচবাংলো সংলগ্ন মাঠ, শ্যামপুরের গড়চুমুকেও। তবে, চড়ুইভাতি করতে আসা লোকজন এখানে থার্মোকল ব্যবহার করেননি। কাগজের পাতা ও প্লেটে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। কিন্তু করোনাবিধি মানার বালাই ছিল না। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা বিধি নিয়ে সর্বত্র মাইকে প্রচার করা হয়েছে।’’ তবে, তাতে জনতার হেলদোল ছিল না বলে তিনি মানছেন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক দিনে হাওড়ায় করোনা সংক্রমণ অনেক বেড়েছে।