এলাকায় সম্পূর্ণ অচেনা। তাঁর উপর অজানা ভাষা। সন্দেহের বশে বছর চল্লিশের ওই যুবককে ঘিরে ধরেছিলেন স্থানীয়েরা। ছুটে আসছিল একের পর এক প্রশ্ন। কিন্তু বাংলা ভাষা না বুঝে তখন অসহায় অবস্থা যুবকের। শুক্রবার খবর পেয়ে চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে পৌঁছয় পুলিশ। তাঁকে আনা হয় থানায়। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিহারে ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগযোগ করা হয়। শনিবার স্ত্রীর সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন ধরম মাহাতো নামে ওই যুবক।
চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নানা মানবিক ও সামাজিক কাজও পুলিশ করে। এটা তারই উদাহরণ।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দশেক আগে বিহারের চকাইয়ের বাসিন্দা ধরম মাহাতো কলকাতায় কাজের জন্যে এসেছিলেন। দিন দু’য়েক জোগাড়ের কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে হাওড়া থেকে ভুল ট্রেন ধরে ব্যান্ডেলে চলে আসেন। সেখান থেকেই অলিগলি ধরে রবীন্দ্রনগরে পৌঁছন।
ঘটনাচক্রে চুঁচুড়া থানার আইসি রামেশ্বর ওঝা-র আদিবাড়ি বিহারে। তিনি বুঝতে পারেন ধরম ‘মুগহি’ ভাষায় কথা বলছেন। তাঁর তৎপরতায় রাতেই চকাই থানা মারফত ধরমের স্ত্রী চাঁদনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শনিবার চাঁদনি চুঁচুড়া থানায় এসে স্বামীকে নিয়ে ঘরের পথে রওনা দেন। চাঁদনি জানান, রাঁচিতে তাঁর স্বামীর মানসিক চিকিৎসা চলছে। কাজের জন্যে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। স্বামীকে ফিরে পেয়ে অবশেষে স্বস্তিতে চাঁদনি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)