সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে নার্সের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওই নার্সিংহোমের মালিক এবং মৃতার প্রেমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নার্স দীপালি জানার। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল। পুলিশের অনুমান, নার্সের মৃত্যুর নেপথ্যে ওই যুবকের কোনও ভূমিকা থাকতে পারে। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও, তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বাড়ি যাওয়ার সময় দীপালির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন ওই নার্সিংহোমের মালিক। ফলে সেই বিষয়টি রয়েছে মৃত্যুরহস্যের তদন্তের আতশকাচের নীচে।
বছর চব্বিশের দীপালির বাড়ি নন্দীগ্রামের রায়নগরে। মৃতার বাবার অভিযোগ, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে ফোন করে যেতে বলা হয়। কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানানো হয়, দীপালি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ পরিবারের অন্য লোকদের নিয়ে নার্সিংহোমে পৌঁছোন সুকুমার। কিন্তু সেখানে দীপালিকে দেখতে পাননি তাঁরা। সুকুমারের কথায়, ‘‘আমাদের বলা হয়, পুলিশ এসে দীপালির দেহ নিয়ে গিয়েছে। কেন আমাদের না দেখিয়ে পুলিশ দেহ নিয়ে গেল?’’ নার্সিংহোমের তরফে আত্মহত্যার কথা বললেও মৃতার পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। সুকুমারের কথায়, ‘‘আমার মেয়ে কোনও দিন আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার মেয়েকে ওঁরা খুন করেছেন।’’
আরও পড়ুন:
হুগলি গ্ৰামীণের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ শুক্রবার মৃতার ময়নাতদন্ত হবে।