ছটপুজোয় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাওড়ায় গঙ্গারসমস্ত ঘাটে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে, নদীতে নেমে পুণ্যস্নানে যাতে কোনওঅসুবিধা না হয়, তার জন্য ঘাটগুলি সব দিক থেকে প্রস্তুত রাখার কাজশুরু করেছে হাওড়া পুরসভা।গঙ্গার পাড়েই তৈরি করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড।
পুরসভা জানিয়েছে, ছটপুজো হয়, হাওড়ার এমন আটটি গঙ্গারঘাটেই এই বিশেষ ব্যবস্থা ও পুলিশি নজরদারি থাকবে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে ছটপুজোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা, তা খতিয়েদেখতে শুক্রবার ঘাটগুলি পরিদর্শন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ ছাড়া, বালি থেকে বটানিক্যালগার্ডেন পর্যন্ত গঙ্গার বিভিন্নঘাটে ছটপুজোর পুলিশি প্রস্তুতি কেমন, তা দেখতে লঞ্চে করে ঘাট পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছটপুজোর দিন হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে নজরদারি চালাতে নদীতে চারটি স্পিড বোট সর্বক্ষণ পাহারায় থাকবে। এ ছাড়া, নৌকায় প্রস্তুত থাকবেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রশিক্ষিত সাঁতারুরা। যাঁরা ছটপুজো করতে আসবেন, তাঁরা গঙ্গায় একটি নির্দিষ্ট দূরত্বপর্যন্ত নামতে পারবেন। এর জন্য ইতিমধ্যেই নদীর পাড়ে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। পুজো করতে আসা ভক্তদের ভিড় সামাল দিতে এবং তাঁদের সতর্ক করতে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হবে। ছটপুজোর জন্য গঙ্গার ঘাটগুলি প্রস্তুত রাখতে এ দিন থেকেই সেখানে হাওড়া পুরসভা ও হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে সাফাইয়ের কাজ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আগামী সোমবার সকাল থেকেই ছটপুজো উপলক্ষে হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে নজরদারি চালানো শুরু হবে।বিশেষত, যে দু’টি ঘাটে ছটপুজোর জন্য সব চেয়ে বেশি ভিড় হয়, সেই রামকৃষ্ণপুর ও তেলকল ঘাটে দু’টি পুলিশ বুথ তৈরি করা হয়েছে। ওই দু’টি বুথে প্রায় ২০০ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী মোতায়েন থাকবেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেক থাকবেন মহিলা পুলিশকর্মী। শিবপুরের ঘাটেও একটি পুলিশ বুথ তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেও ওই দিন পুলিশের তরফে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।
হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘ছটপুজো উপলক্ষে পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি হাওড়া পুরসভার বিভিন্ন দফতরের অফিসারেরা গঙ্গার আটটি ঘাটে নজরদারি চালাবেন। পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা সব সময়ে নজরে রাখা হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)