শীতের রাত। দশটা বেজে গিয়েছে। তারস্বরে ডিজে বাজিয়ে তখনও চলছিল উদ্দাম নাচ। তার আগে টানা ১২ ঘণ্টা ডিজে-র তাণ্ডব হজম করে অতিষ্ঠ হিন্দমোটরের তেঁতুলতলা এলাকার বাসিন্দারা। শেষে সমাজমাধ্যমে গোটা বিষয়টি তুলে ধরলেন ওই এলাকার বাসিন্দা রূপা চক্রবর্তী খান। ডিজে-র দৌরাত্ম্যে বয়স্কদের কষ্টের কথাও তাতে লিখলেন। সমাজমাধ্যমে বিষয়টি জেনে টনক নড়ে পুলিশের। উত্তরপাড়া থানার আইসি পার্থ শিকদার পুলিশ পাঠান। বন্ধ হয় অত্যাচার।
বুধবার, প্রজাতন্ত্র দিবসের রাতের ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ-প্রশাসন সারা দিন ওই তাণ্ডবের খবর পেল না কেন? চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘বিষয়টি আমাদের কেউ জানাননি। সমাজমাধ্যমে জেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’
প্রজাতন্ত্র দিবসে পাড়ায় পাড়ায় চড়ুইভাতির রেওয়াজ রয়েছে। বক্স বাজিয়ে দিনভর দেশাত্মবোধক গানও নতুন নয়। কিন্তু ওই দিন উত্তরপাড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একদল মাঝবয়সি লোক ডিজে-সহযোগে কার্যত উৎপাত চালান বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর ক্ষোভ, কানফাটানো আওয়াজে শিশু থেকে বয়স্করা জেরবার হন। স্থানীয় আবাসনের বাসিন্দা রূপা বিষয়টি সমাজমাধ্যমে লেখার পরই পুলিশের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। অভিযোগ, সাংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধি সেখানে গেলে উৎসবে শামিল লোকেরা জানতে চান, ছবি তোলা হচ্ছে কেন?