Advertisement
E-Paper

নতুন বছর থেকে থাকছে না সিঙ্গুর লোকাল, চালু করেন মমতা, প্রতিবাদের ডাক বেচারামের

এক জোড়া সিঙ্গুর লোকাল ‘বন্ধ করে দেওয়ার’ প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না। রেলের বক্তব্য ট্রেন বন্ধ হচ্ছে না। যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হচ্ছে।

সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে বেচারাম মান্না। মঙ্গলবার সকালে।

সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে বেচারাম মান্না। মঙ্গলবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৪
Share
Save

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই বদলে যাচ্ছে হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ। আগামী ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে এক জোড়া সিঙ্গুর লোকালের একটি হরিপাল পর্যন্ত যাবে, অন্যটি যাবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। দু’টি লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারণের নোটিস পড়তেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সিঙ্গুর লোকাল ‘বন্ধ করে দেওয়ার’ প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না।

রেলের অবশ্য বক্তব্য, ট্রেন বাতিল হচ্ছে না। বরং দু’টি ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। রেলের এই ব্যাখ্যায় অবশ্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামছে না। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গুর এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বেচারাম, তাঁর স্ত্রী তথা হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না এবং অন্য তৃণমূল নেতারা। ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা বেচারাম বুধবার সকালে সবাইকে সিঙ্গুর স্টেশনে হাজির হওয়ার ডাক দেন। মঙ্গলবার বিকেলে রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকার সময় সিঙ্গুর লোকাল চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় লড়াই করা কৃষকদের সম্মান জানিয়ে লোকাল ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আন্দোলন লোকাল’। স্থানীয়দের অনেকের কাছেই এক জোড়া সিঙ্গুর লোকাল ওই নামে পরিচিত ছিল। রেলের অবশ্য বক্তব্য, লোকাল ট্রেনের কোনও নাম হয় না। প্রতিটি লোকাল ট্রেনের নির্দিষ্ট একটি নম্বর থাকে। সেটিই সেই ট্রেনের পরিচয়।

রেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম বলেন, “সিঙ্গুর একটি জনবহুল এলাকা। এই স্টেশনের মাধ্যমে ৫২টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। সিঙ্গুর লোকাল থাকায় বহু মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে রেলে যাতায়াত করতে পারতেন। পূর্ব রেল চক্রান্ত করে এই ট্রেনটিকে তারকেশ্বর পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাইছে।” এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, “যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী দু’টি সিঙ্গুর লোকালের একটি তারকেশ্বর থেকে, অন্যটি হরিপাল থেকে ছাড়বে। তাতে সিঙ্গুরের যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। ট্রেন তুলে নেওয়া হয়নি।”

becharam manna Eastern Rail Local Train Singur

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}