মঙ্গলবার ডানলপে গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিপ্যাড তৈরি জন্য গাছ কাটা হয়েছিল, না ছাঁটা— তা নিয়েই লেগে গেল বিজেপি-তৃণমূলে। তৃণমূলের অভিযোগ, হুগলির সাহাগঞ্জে সোমবার ডানলপের মাঠে মোদীর সভার নামে অনুমতি না নিয়ে গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হয়েছে। আগামী কাল, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ওই মাঠেই। তার আগে পরিবেশ নিয়ে সাহাগঞ্জ সরগরম। মঙ্গলবার ডানলপে গাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি-র পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কিছু না জেনে এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজছে। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, অনুমতি নিয়ে গাছ ‘ছাঁটা’ হয়েছিল, ‘কাটা’ হয়নি।
সোমবার ডানলপের মাঠে সভা করেন মোদী। সেই মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল বলে অভিযোগ। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, ‘‘ডানলপ এস্টেটের বহু প্রাচীন গাছ বিনা অনুমতিতে কেটে ফেলা হয়েছে। যার জেরে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে আজ বৃক্ষরোপন করা হল।’’ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠেই জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘মোদী এলে ধ্বংস, দিদি এলে সৃষ্টি’— লেখা ব্যানার নিয়ে মঙ্গলবার মিছিলও করেছেন তৃণমূলকর্মীরা।
তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা স্বপন পাল। বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোক দেখে ঘাবড়ে গিয়েছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে হুগলি লোকসভায় ৫টি বিধানসভায় হেরেছে তৃণমূল। এ বার সবকটাতে হারবে। তাই বৃক্ষরোপণের নাটক করছে। ওদের লোকজনই গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি গাছ কেটে, পুকুর ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতি করেছে। ডানলপ কারখানা চুরি করে বেচে দিয়েছে।’’ গাছ কাটা নিয়ে বিজেপি হুগলি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউয়ের বক্তব্য, ‘‘গাছ কাটা হয়নি। ছাঁটা হয়েছে। তার জন্য অনুমতিও নেওয়া হয়েছিল। এই অনুমতি প্রশাসনই দিয়েছে। কিছু না জেনে মূর্খের মতো তৃণমূল আন্দোলন করছে। এ সব করে কোনও লাভ হবে না। পরিবর্তন হবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy