মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার প্রস্তুতি পর্ব সম্পূর্ণ। আজ সোমবার, দুপুরে আরামবাগের কালীপুর বিজয় ক্রীড়াঙ্গন তথা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তিনি সভা করবেন। দুপুর ১টা নাগাদ হেলিকপ্টারে তাঁর পৌঁছনোর কথা। শহরের পল্লিশ্রী সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের ধারে স্থায়ী হেলিপ্যাড ছাড়াও সভাস্থলের কাছে বিকল্প হেলিপ্যাড হয়েছে। মঞ্চের সামনে তিনটি পৃথক ছাউনিতে পর্যাপ্ত আলো, পাখা ও সাউন্ড বক্সের ব্যবস্থা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার আগে বাঁ দিকে জেলার নানা হস্ত ও কুটির শিল্পের প্রদর্শনী করা হয়েছে।
রবিবার দফায় দফায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখতে আসেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ অতিরিক্ত জেলাশাসকরা। ছিলেন আরামবাগের মহকুমাশাসক সুভাষিণী ই এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরাও। সভার আয়োজনে যাতে কোনও খামতি না থাকে তা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকও হয়। একই ভাবে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে বিকেলে আসেন রাজ্য পুলিশের ওয়েস্টার্ন জ়োনের এডিজি-আইজিপি ত্রিপারারি অথর্ব, ছিলেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায়, এসডিপিও(আরামবাগ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী সহ পুলিশ কর্তারা। বিকালে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক অসীমা পাত্র, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার-সহ জেলার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরাও আসেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে প্রায় ১৫ হাজার উপভোক্তা হাজির থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের হাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা বা সরঞ্জাম তুলে দেবেন। এছাড়াও ২৭৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা রয়েছে তাঁর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)