Advertisement
E-Paper

বুধ সকালে তারকেশ্বরগামী লোকাল আটকানো হল সিঙ্গুরে, মন্ত্রী বেচারামের নেতৃত্বে চলছে বিক্ষোভ

বুধবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ১ নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকে। ট্রেন আসতেই সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী ও সিঙ্গুরবাসীরা ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৫
সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচি।

সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচি। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া থেকে সিঙ্গুরগামী সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল ট্রেনটির যাত্রাপথ কোনও মতেই সম্প্রসারণ করা যাবে না, এই দাবিতে নতুন বছরের সকাল থেকেই সিঙ্গুর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন সিঙ্গুরবাসীরা। সম্প্রসারিত নতুন রুটে হাওড়া থেকে তারকেশ্বরগামী ট্রেনটির তারকেশ্বর যাওয়া আটকাতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।

বুধবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সিঙ্গুর স্টেশনের ১ নং প্ল্যাটফর্মে ট্রেনটি ঢোকে। ট্রেন আসতেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী ও সিঙ্গুরবাসীরা ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। উপস্থিত ছিলেন বেচারামের স্ত্রী তথা হরিপালের বিধায়ক করবী মান্নাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিশ ও হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ।

মন্ত্রী বেচারাম বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের মানুষকে সম্মান জানানোর জন্য, তাঁদের অসুবিধার কথা ভেবে এক জোড়া ট্রেন চালু করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রেল বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ট্রেনটিকে তুলে দিচ্ছে। যত ক্ষণ না রেল এই সিদ্ধান্ত বাতিল করছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কারণ, এই ট্রেনের সঙ্গে সিঙ্গুরের মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।’’ বেচারাম আরও জানান, সিঙ্গুর আন্দোলন লোকাল ছাড়া অন্য ট্রেন তাঁরা আটকাবেন না।

উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই বদলে গিয়েছে হাওড়া-সিঙ্গুর লোকালের যাত্রাপথ। বুধবার থেকে এক জোড়া সিঙ্গুর লোকালের একটি হরিপাল পর্যন্ত যাবে, অন্যটি যাবে তারকেশ্বর পর্যন্ত। সোমবার দু’টি লোকালের যাত্রাপথ সম্প্রসারণের নোটিস পড়তেই শুরু হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সিঙ্গুর আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত সিঙ্গুর লোকাল ‘বন্ধ করে দেওয়া’ হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালেও সিঙ্গুর ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন বেচারাম ও তাঁর স্ত্রী। ছিলেন অন্য তৃণমূল নেতারাও।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী থাকার সময় সিঙ্গুর লোকাল চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনের সময় লড়াই করা কৃষকদের সম্মান জানিয়ে লোকাল ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আন্দোলন লোকাল’। স্থানীয়দের অনেকের কাছেই এক জোড়া সিঙ্গুর লোকাল ওই নামে পরিচিত ছিল। রেলের অবশ্য বক্তব্য, লোকাল ট্রেনের কোনও নাম হয় না। প্রতিটি লোকাল ট্রেনের নির্দিষ্ট একটি নম্বর থাকে। সেটিই সেই ট্রেনের পরিচয়। রেলের বক্তব্য, ট্রেন বাতিল হচ্ছে না। বরং দু’টি ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। রেলের এই ব্যাখ্যায় অবশ্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থামছে না। বুধবার সকালেও সিঙ্গুর স্টেশন চত্বরে জড়ো হয়েছেন বহু মানুষ।

Singur Local Train becharam manna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy