রণের খালের উপর রাস্তার বেহাল দশা। নিজস্ব চিত্র।
২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল পিচের রাস্তা। মাঝের পাঁচ বছরে পিচ উঠে রাস্তার মাটি দেখা যাচ্ছে। কোথাও আবার বড় খন্দ তৈরি হয়েছে। জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ পঞ্চায়েতের রণের খালের উপর সাত কিলোমিটার বেহাল রাস্তা নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ কম নয়। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের এই রাস্তা সারানো নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও সাড়া মেলেনি। সামনের পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের ওই রাস্তা সংস্কার নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।
সেচ দফতরের অধীনে রণের খাল লাগোয়া সাত কিলোমিটার রাস্তাটি দিলাকাশ হয়ে গোবিন্দপুর থেকে টানা তাড়াজল পর্যন্ত বিস্তৃত। কুলাকাশ, গাবতলা, আঁকুটি, তারাজল সমেত পাঁচটি মৌজার মোট ছ’টি গ্রামের অন্তত ১৩ হাজার মানুষ ওই রাস্তার উপর নির্ভরশীল। ওই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একমাত্র ভরসা খুঁড়িগাছি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পথও এটি। ওই এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয় ও মোট পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই পথ দিয়েই পড়ুয়ারা নিত্য যাতায়াত করে।
এলাকার বাসিন্দা তাপস মাহিন্দার বলেন, ‘‘রাস্তাটা শেষ সংস্কার হয়েছিল ২০১৮ সালে। ২০২০ সাল নাগাদ রাস্তাটা হাঁটার অযোগ্য হয়ে যায়। তখন খাল সংস্কার চলছিল এই অঞ্চলে। মাটি ভর্তি বড় ডাম্বার এই পথ দিয়ে যেত। সেগুলি যাতায়াতের ফলেই আরও খারাপ হয়ে যায় রাস্তার হাল। গ্রামে কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স আসতে চায় না।’’ ওই পথে যাতায়াতকারী এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘একদিন সাইকেল নিয়ে যেতে গিয়ে গর্তে উল্টে পড়েছিলাম। এখন খুব সাবধানে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাটা কি আর সারানো হবে না?’’
রণের খালের উপরের রাস্তার হাল যে ভাল নয় তা মেনে নিয়েছেন জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল চন্দ। তিনি বলেন, ‘‘মাঝে আমরা চেষ্টা করেছিলাম। ওই রাস্তা সংস্কারে ঠিকাদার পেতে সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু আমরা ফের যোগাযোগ করেছি। জেলা পরিষদ ওই রাস্তা সংস্কার করবে। খুব শীঘ্রই ওই রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy