E-Paper

মুক্তোর বাজার ধরতে প্রশাসনের দ্বারস্থ

আট মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালে পথতলা শুরু এই গোষ্ঠীর। ওই মুক্তো চাষের দায়িত্ব রয়েছেন কাজল মণ্ডল ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।

বিশ্বজিৎ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ০৮:৫৮
চলছে মুক্তো তৈরির কাজ। বলাগড়ের ডুমুরদহের টাকিপাড়ায়।

চলছে মুক্তো তৈরির কাজ। বলাগড়ের ডুমুরদহের টাকিপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

কৃত্রিম ভাবে মুক্তো তৈরির বিষয়টি নতুন নয়। তবে বলাগড়ের ডুমুরদহতে সেই নকল মুক্তোতে ফুটে উঠছে গণেশের আদল। কোনওটিতে স্বস্তিক চিহ্ন, আবার কোনওটিতে শিবলিঙ্গ! তবে এমন জিনিসের বিক্রির জন্য বাজার মিলছে না বলে অভিযোগ ডুমুরদহের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের। মুক্তো বিক্রি বাজার ধরতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।

আট মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৮ সালে পথতলা শুরু এই গোষ্ঠীর। ওই মুক্তো চাষের দায়িত্ব রয়েছেন কাজল মণ্ডল ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস। তাঁরা জানান, সমুদ্রের বদলে পুকুরেই চাষ করা ভাল এই বিশেষ ঝিনুকের। টাকি পাড়ার একটি ভেড়ির পাশে পুকুরে প্রথম বার সময় লেগেছিল দেড় বছর। ২০০টি ঝিনুকের মধ্যে ১৭০টি মুক্তো মিলেছিল। কাজল বলেন, ‘‘প্রতি মুক্তো ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এক বছর হল ২০০টি ঝিনুকে মুক্তো চাষ করেছি। আর মাস আটেক পর মুক্তো তৈরি হয়ে যাবে।’’

ওই গোষ্ঠীর সম্পাদক পাঁচুগোপাল মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসন যদি ওই মুক্তো বিক্রির বাজার ধরার জন্য সাহায্য করে, তা হলে উপকার হয়।’’

বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা মণ্ডল প্রামাণিকের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে নানা প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। আমরা ওই গোষ্ঠীর পাশে থাকার চেষ্টা করব।’’ আর হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Balagarh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy