প্রায় এগারো মাস পরে খুলতে চলেছে স্কুল। রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবে। করোনা-বিধি মেনে শুরু হবে পড়াশোনা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শ্যামপুরে খাজনাবাহালা হাই মাদ্রাসায় সাজো সাজো রব। স্কুল চত্বর পরিষ্কারে শিক্ষকদের সাথে
হাত লাগিয়েছেন পরিচালন সমিতির সদস্য ও গ্রামবাসীরা। কেউ দিচ্ছেন ঝাড়ু, আবার কেউ জল দিয়ে স্কুল চত্বর ধুয়ে দিচ্ছেন।
১৭ কাঠা জমিতে শ্যামপুর খাজনাবাহালা হাই মাদ্রাসার তিনটি ভবন রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ ২১টি। মাদ্রাসার মোট পড়ুয়ার সংখ্যা এক হাজার। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা পাঁচশো। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার জন্য মাদ্রাসা চত্বর অপরিষ্কার হয়েছে। আশেপাশে জন্মেছে আগাছা। তাই স্কুল খোলার ঘোষণার পরই জোরকদমে শুরু হয়েছে মাদ্রাসা সাফাইয়ের কাজ। হাত লাগিয়েছেন মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির সদস্যরাও।
সম্পাদক শেখ সারওয়ারউদ্দিন বলেন, ‘‘মাদ্রাসা আমাদের গ্রামের সম্পদ। এখানে গ্রামের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করে। তাই মাদ্রাসা পরিষ্কারের জন্য শিক্ষকদের সাথে গ্রামবাসীরাও হাত লাগিয়েছে।’’ আফরোজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা বলেন, ‘‘ করোনা ভাইরাস আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। মাদ্রাসা খুললে পড়ুয়ারা আসবে। আবার ছন্দে ফিরবে মাদ্রাসা। তাই এই সাফাইয়ে হাত লাগানো তো আমাদের দায়িত্ব।’’
করোনা অতিমারির জন্য দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয় ২০১৯ সালের মার্চে মাসের শেষের দিকে। সেই থেকেই স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। বর্তমানে করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে কমছে সংক্রমণের হার। এই পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার পর কতটা মানা হবে করোনা-বিধি?
প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘একসঙ্গে যাতে অনেক ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসরুমে না বসে সেই দিকে নজর রাখা হবে। একুশটি ঘরে ছড়িয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বসানো হবে। প্রতিদিন ছুটির পরে ঘর পরিষ্কার করা হবে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মাস্ক পরে থাকবেন। থাকবে স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা।’’