খেলতে গিয়ে মাঠে বিস্ফোরণে জখম এক বালক। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এবং শোরগোল হাওড়ার ব্যাঁটরা থানা থেকে মাত্র একশো মিটার দূরে ভোলানাথ কবিরাজ লেন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে পাড়ার মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলছিল কচিকাঁচারা। হঠাৎ মাঠ থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসে। দৌড়ে যান এলাকার কয়েক জন। তাঁরা দেখেন, এক বালক মাটিতে শুয়ে। যন্ত্রণায় ছটফট করছে সে। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।
বিস্ফোরণের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয়েরা দাবি করেন, পরিত্যক্ত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুপুর ৩টে নাগাদ বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়েছে। তাতে রৌসন সিংহ নামে এলাকার এক বালক গুরুতর জখম হয়েছে। পরিবার সূত্রে খবর, বালকের ডান হাত এবং ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে সে।
আরও পড়ুন:
বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করতে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারাও যান।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) তফিজুল আজহার বলেন, ‘‘কী রকমের বোমা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আতশবাজিও হতে
পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। একটি শিশু গুরুতর জখম
হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।’’ পরে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোমা নয়, আতশবাজি থেকে এই বিস্ফোরণ।
পরে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, বিকেলে ব্যাঁটরা থানার এলাকার এগারো বছর বয়সি কুন্দন মাঠে খেলার সময় দেশলাই কাঠি দিয়ে আতশবাজি জ্বালানোর চেষ্টা করে। প্রথম কয়েক বার চেষ্টা করেও জ্বালাতে না পেরে, সে বাজিটির কাছে গিয়ে আরও এক বার জ্বালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার পরেও সেটি নিবে যায়। তখন বাজিটি হাতে নিয়ে দেখতে যায় ছেলেটি। বাজিটি ফেটে যায়। এতে হাত এবং চোখে আঘাত লাগে তার। তাৎক্ষণিক ভাবে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। তা ছাড়া, পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে রেখেছে। একজন পাহারাদার মোতায়েন করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। বিশেষজ্ঞ মূল্যায়নের জন্য একটি ফরেন্সিক দলকে ডাকা হয়েছে। আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আতশবাজি পোড়ানোর ফলেই ওই দুর্ঘটনা।