সরস্বতী পুজো। নিজস্ব চিত্র।
সরস্বতীর পুজোর আগে আংশিকভাবে খুলেছে বিদ্যালয়। কিন্তু পুজোর দিন বিদ্যালয়ে আসার অনুমতি মেলেনি কচিকাঁচাদের। স্বাভাবিকভাবে মন খারাপ পড়ুয়াদের। হুগলি জেলার চুঁচুড়ার একচি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় অনলাইনে পুজো দেখে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করল পড়ুয়াদের জন্য। এই আয়োজনে খুশি করেছে পড়ুয়াদেরও।
চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়ের ওই স্কুলে সরস্বতী পুজো হয়েছে। তবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-শিক্ষিকারাই শুধু পুজোয় অংশ নিয়েছেন। যে পড়ুয়াদের জন্য পুজো তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবে না। তাদেরকে পুজোয় সামিল করতেই অনলাইনে পুজো। বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েও পুজো এবং পুষ্পাঞ্জলিতে অংশ নিয়েছে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা প্রদীপ্তা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য। বছরের এই একটা দিন সকলে স্কুলে এসে পুজোয় যোগ দেয়। ছবি তোলে, আনন্দ করে। প্রত্যেক বছর ওরাই পুজোর যাবতীয় আয়োজন করে। গোটা স্কুলকে সাজায়। এ বছর স্বাস্থ্য বিধির কথা মাথায় রেখে পুজোর আয়োজনে পড়ুয়াদের রাখা সম্ভব হয়নি। যাবতীয় আয়োজন শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজেরাই করেছেন। তবে ওদের অনুপস্থিতিতে পুজোর কথা ভাবা যায় না। তাই পুজোর নির্ঘন্ট পুজোর আগের দিনই সকল পড়ুয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুজোয় যোগ দেওয়ার অনলাইন লিঙ্কও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’ প্রতিদিন অনলাইন ক্লাসের মতোই ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের পুজোয় যোগ দিয়েছে। দূর থেকে হলেও বিদ্যালয়ের পুজোয় যোগ দিতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র ময়ূখ সেন বলেছে, ‘‘প্রতি বছর বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর দিন খুব মজা হয়। এ বার বিদ্যালয় খুললেও সরস্বতী পুজোয় থাকতে পারব না শুনেই খুব মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু যখন স্কুল থেকে জানাল অনলাইনে পুজোয় যোগ দেওয়া যাবে, তার পর থেকে মনটা ভাল হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy