E-Paper

পার্ক স্ট্রিটের মতো বর্ষশেষে আলোয় সাজবে শ্রীরামপুর

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা, উপ পুরপ্রধান উত্তম নাগ, চার পুর-পারিষদ গৌরমোহন দে, সন্তোষ সিংহ, পিন্টু নাগ এবং তিয়াসা মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪
বড়দিনে রঙিন পার্ক স্ট্রিট এলাকা।

বড়দিনে রঙিন পার্ক স্ট্রিট এলাকা। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

বড়দিন থেকে ইংরেজি বর্ষবরণের রাত পর্যন্ত আলো ঝলমল করে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হন উৎসব পালন করতে। সেই আবহ এ বার মিলবে শ্রীরামপুর শহরেও!

শ্রীরামপুর পুরসভা এবং ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত উদ্যোগে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ নিয়ে শনিবার পুর-কর্তৃপক্ষ শহরের ডেনমার্ক ট্যাভার্নে বৈঠক করলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এ দিন পুরসদস্যদের বৈঠকেও (বোর্ড অব কাউন্সিলর্স মিটিং) ওই উৎসবের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা, উপ পুরপ্রধান উত্তম নাগ, চার পুর-পারিষদ গৌরমোহন দে, সন্তোষ সিংহ, পিন্টু নাগ এবং তিয়াসা মুখোপাধ্যায়। সন্তোষ জানান, আগামী ২২ ডিসেম্বর উৎসব শুরু হবে। চলবে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেন্ট ওলাভ গির্জার সামনে থেকে এন এন রায় স্ট্রিট, চার্চ স্ট্রিট হয়ে নেতাজি সুভাষ অ্যাভিনিউতে গান্ধী ময়দানের সামনে পর্যন্ত আলো দিয়ে সাজানো হবে। বড়দিন সংক্রান্ত আলোকসজ্জা থাকবে। পাশাপাশি, শহরের ইতিহাস নিয়েও বার্তা দেওয়া হবে আলোর সাজে। চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি কলকাতা বা অন্য জায়গা থেকেও শিল্পীদের আনা হবে। ৩১ ডিসেম্বর মাঝরাত পর্যন্ত নতুন বছর উদ্‌যাপন চলবে।

শ্রীরামপুর ঐতিহ্যপূর্ণ শহর। ডেনমার্কের উপনিবেশের সময় এখানে গড়ে উঠেছিল ডেনমার্ক ট্যাভার্ন এবং ওলাভ গির্জা। দু’টি স্থাপত্যই ভগ্নদশা থেকে নতুন রূপে ফিরে এসেছে পুরনো আদল হুবহু বজায় রেখে। আছে দু’শো বছর পেরনো শ্রীরামপুর কলেজ। আরও নানা প্রাচীন স্থাপত্য রয়েছে এই শহরে। আছে বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দির ও রথ, রাধাবল্লভ মন্দির। নামীদামি অনেক রেস্তরাঁ রয়েছে এই শহরে। এই বিষয়গুলি উল্লেখ করে পুরপ্রধানের বক্তব্য, এই ধরনের উৎসব হলে মানুষজন যেমন আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই ব্যবসার ক্ষেত্রেও তা লাভজনক হবে। শহরের ঐতিহ্যের কথা আরও বেশি করে প্রচার পাবে। পর্যটনের ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে।

সন্তোষ বলেন, ‘‘প্রস্তাবে ব্যবসায়ীরা সম্মত হয়েছেন। মানুষকে আনন্দদান এবং ঐতিহ্য ও ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে আমাদের শহরকে তুলে ধরতেই এই ভাবনা।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Park Street christmas New Year

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy