Advertisement
০২ মে ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

ভোটের দায়িত্ব সামলে ভোটদানে ‘নেই’ সিভিক

সূত্রের খবর, থানায় থানায় আধিকারিকদের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকে।

ভোটারদের সাহায্য করছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার চুঁচুড়ায় একটি বুথে।

ভোটারদের সাহায্য করছেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার চুঁচুড়ায় একটি বুথে। ছবি: তাপস ঘোষ।

সুদীপ দাস
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৩ ০৮:৩৮
Share: Save:

নীল পোশাকে বেশির ভাগ বুথে তাঁরাই লাইন সামলেছেন। সকালের দিকে কোথাও কোথাও পুলিশ বা বাহিনী নয়, শুধু তাঁদেরই দেখা মিলেছে। কিন্তু, শনিবার দিনভর ভোটের দায়িত্ব সামলানো হুগলি জেলার অধিকাংশ সিভিক ভলান্টিয়ার নিজেদের ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এ নিয়ে তাঁদের অনেকেই ক্ষুব্ধ।

সূত্রের খবর, থানায় থানায় আধিকারিকদের কাছে এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ারদের অনেকে। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের একাংশ বলছেন, তাঁদের যখন ভোটে ব্যবহার করা হল, ভোটকর্মীদের মতো পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুযোগ করে দেওয়া হল না কেন? আরামবাগ এবং তারকেশ্বর পুরসভা বাদ দিয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার পুরোটাই পঞ্চায়েত। চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় যে টুকু অংশে পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে বসবাসকারী সিভিকদেরও একই প্রশ্ন।

কমিশনারেট এবং গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা মানছেন, কাজের চাপে অনেক সিভিক ভলান্টিয়ার ভোট দিতে পারেননি। এর পরে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হবে বলে তাঁরা আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ভোট দেওয়ার অধিকার সকলের। এমনটা হয়ে থাকলে, বিকল্প ভাবতে হবে।’’

সরকারি হিসাব বলছে, হুগলি জেলায় চার হাজারের বেশি সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তায় সিভিকদের ব্যবহার করা যাবে না বলে আদালত জানিয়েছিল। কিন্তু, ভোটের দিন বেশির ভাগ বুথেই সিভিকদের দেখা মিলেছে। তবে, তাঁরা শুধু লাইন সামলেছেন বলেই পুলিশকর্তাদের দাবি।

পুলিশ সূত্রে খবর, যে এলাকায় বাড়ি, সেখানকার স্থানীয় থানাতেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। একটি থানা এলাকায় একাধিক পঞ্চায়েত থাকতে পারে। অভিযোগ, যে সব সিভিকদের অন্য পঞ্চায়েত কিংবা নিজের বুথের দূরবর্তী স্থানে দায়িত্ব পড়েছিল, তাঁরা কেউই ভোট দিতে পারেননি। একটি সূত্র বলছে, ওই সংখ্যা মোট সিভিকদের ৭০ শতাংশের বেশি। গ্রামীণ এলাকার সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর, আরামবাগ কিংবা কমিশনারেটের চুঁচুড়া বা রিষড়া— সর্বত্রই সিভিক ভলান্টিয়াররা ভোট না দিতে পারায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

জেলা কংগ্রেস নেতা মইনুল হক বলেন, ‘‘সিভিকদের সংখ্যা অনেক। ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। না হলে, পুলিশকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে জানাতেন।’’ বিজেপির রাজ্যনেতা স্বপন পালের বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশ ছিল, ভোটে সিভিকদের ব্যবহার করা যাবে না। তা মানা হয়নি। সিভিকদের একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নাম উচিত।’’ রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ রকম হয়ে থাকলে, অনেকগুলো ভোট নষ্ট হয়েছে ঠিকই। তবে, এটি সম্পূর্ণ কমিশনের ব্যাপার। তাই, আমি কিছু বলতে পারব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE