প্রতীকী ছবি।
‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’— দলের নতুন স্লোগান তুলে ধরতে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার উদ্যোগে সাঁকরাইল বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিল তৃণমূল। সোমবার সেখানেই ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করলেন দলীয় বিধায়ক শীতল সর্দার।
শীতলবাবুর ক্ষোভ, ‘‘কয়েকদিন আগে ডুমুরজলায় দলের তরফে জনসভা হয়। জেলার সব বিধায়ককে ডাকা হলেও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। ফোন করে ডাকলেও আমি চলে যেতাম।’’
বিধায়ক এ কথা বলার পরেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ডুমুরজলার ওই সভার উদ্যোক্তা ছিলেন জেলা সদর তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিক সম্মেলনে শীতলবাবুর এই সব বেফাঁস মন্তব্য করা উচিত হয়নি। ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সদর এলাকার বিধায়কদের। সাঁকরাইল বিধানসভাকেন্দ্র পড়ে গ্রামীণ এলাকায়। তাই সেখানকার বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’
ওই জনসভায় হাজির ছিলেন জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে নির্বাচিত সমীর পাঁজা, নির্মল মাজি, কালীপদ মণ্ডল, অরুণাভ সেনের মত বিধায়কেরাও। সেই প্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, ‘‘ওই বিধায়কেরা স্বেচ্ছায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কেউ স্বেচ্ছায় আসতে চাইলে তাঁদের বারণ করব কী ভাবে? সাংবাদিক সম্মেলনের পরে আমি শীতলবাবুকে ফোন করে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। তাঁকে আরও বলেছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি। ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে।’’
শীতলবাবু অবশ্য পরে বলেন, ‘‘আমার কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। একটা মানসিক কষ্টের কথা ব্যক্ত করেছিলাম মাত্র। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ারও প্রশ্ন নেই। দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই আমি তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy