Advertisement
E-Paper

বাবা, মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য হুগলির সিঙ্গুরে, রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার জামাই

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে বার বার আঘাত করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বাবা, মেয়ের। কে এই ঘটনা ঘটাল, তা এখনও অস্পষ্ট। পুলিশ মনে করছে, পরিবারে অশান্তির কারণেই এই ঘটনা।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২১
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

সিঙ্গুরে বাবা ও মেয়ের রহস্যমৃত্যু। মঙ্গলবার সকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই ব্যক্তির বড় মেয়ের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে নিজের শ্বশুর এবং শ্যালিকাকে খুন করেছেন ওই ব্যক্তি। তবে তদন্তে কোনও দিকই বাদ রাখছে না পুলিশ। আপাতত ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করতে চায় পুলিশ।

হুগলির সিঙ্গুর থানার অন্তর্গত দলুইগাছা হোটেল ধার এলাকা দিয়ে যাওয়া বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডের পাশে বাড়ি বিষ্ণুদয়াল সাউয়ের। ষাটোর্ধ্ব বিষ্ণুদয়ালের দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হলেও তিনি স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন। ওই বাড়িতে থাকতেন বিষ্ণুদয়ালের ছোট মেয়ে বছর ৩০-এর বিনীতাও। মঙ্গলবার সকালে বিনীতার এক বন্ধু প্রীতম ফোন পান বিনীতার দিদির। বলা হয়, বিনীতা গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। প্রীতমকে দ্রুত তাঁদের বাড়িতে চলে আসতে বলা হয়। প্রীতম সিঙ্গুরে বিনীতার বাড়িতে পৌঁছে দেখতে পান, রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছেন বিনীতা এবং তাঁর বাবা বিষ্ণুপ্রসাদ। এর পর প্রীতমই পুলিশ ডাকেন। প্রীতম পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে অশান্তি হত এ খবর তিনি জানতেন। কিন্তু পারিবারিক কারণেই অশান্তি হত কি না, তা তিনি জানেন না বলে পুলিশকে জানান প্রীতম। ঘটনায় বিনীতার জামাইবাবু পিন্টু মণ্ডলকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে বার বার আঘাত করার ফলেই মৃত্যু হয়েছে বাবা, মেয়ের। কে এই ঘটনা ঘটাল তা এখনও অস্পষ্ট। যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, পরিবারে অশান্তির কারণেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পিন্টুকে আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জামাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পারিবারিক অশান্তির কারণে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।

police family
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy