আজ রথযাত্রা। পুরীর পরেই মাহেশের রথযাত্রার নামডাক। শনিবার মাহেশের আকাশ মেঘলা ছিল। সামান্য বৃষ্টিও হয়েছে। তার মধ্যেই ৬২৮তম বর্ষের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থেকেছে এই জনপদ।
মাহেশের বর্তমান রথটি চালু হয় ১৮৮৫ সালে। এটি তৈরি করেছিলেন শ্যামবাজার বসু পরিবারের তৎকালীন কর্তা কৃষ্ণচন্দ্র বসু। প্রতি বারই ওই পরিবারের তরফে রথের সংস্কার করা হয়। এ বারেও ওই পরিবারের ফাল্গুনী সখা বসু, বিশ্বজিৎ বসু, চন্দন দেবনাথের তত্ত্বাবধানে রথ সংস্কার করা হয়েছে। চন্দন জানান, এ বার আড়াই লক্ষের বেশি টাকা খরচ হয়েছে সংস্কারে।
উৎসবে নিরাপত্তা জোরদার করছে পুলিশ। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি নিজে মাহেশে উপস্থিত থাকবেন। মহিলা পুলিশ, র্যাফ মিলিয়ে শ’পাঁচেক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়াও থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। উঁচু বাড়ি বা আবাসনের ছাদ থেকেও পুলিশ নজরদারি চালাবে। বিকেল ৪টেয় রথটান শুরু হওয়ার কথা। সকাল থেকেই জিটি রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রাও বিখ্যাত। প্রথা অনুযায়ী এখানে রথের টান শুরু হবে বেলা ১২টায়। মাঝপথে রথ দাঁড় করানো হবে। দ্বিতীয় দফায় টান শুরু হবে বিকেল ৪টেয়। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের দাবি, পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার জন মোতায়েন করা হবে সার্বিক ব্যবস্থাপনায়। মাহেশ এবং গুপ্তিপাড়া দুই জায়গাতেই সিসি ক্যামেরার নজরদারির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ওড়ানো হবে ড্রোন। ফেরিঘাটে নজরদারি চলবে। থাকছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম।
চন্দননগরের গঞ্জের বাজার
থেকে জিটি রোড ধরে রথ নিয়ে
যাওয়া হয় তালডাঙায়। এখানেও বহু মানুষের সমাগম হয়। চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)