Advertisement
E-Paper

বৃষ্টির মধ্যে খেলতে খেলতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট তিন শিশু, উপস্থিত বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচালেন পড়শি

শনিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হুগলির বিভিন্ন এলাকায়। কখনও মাঝারি, কখনও ভারি বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল গোপীনগরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:১০

প্রতীকী ছবি।

বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় রাস্তায় খেলতে খেলতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তিন শিশু। উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে তাদের প্রাণ বাঁচালেন এক ব্যক্তি। শনিবার হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের গোপীনগরে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই তিন শিশুকে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এক শিশু এখনও চিকিৎসাধীন।

শনিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হুগলির বিভিন্ন এলাকায়। কখনও মাঝারি, কখনও ভারি বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল গোপীনগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যায় রাস্তায় খেলছিল ওই তিন শিশু। তাদের সকলের বয়স পাঁচ-ছ’বছরের মধ্যে। রাস্তায় ধারে একটি টোটো দাঁড় করানো ছিল। চার্জে বসানো ছিল সেটি। ওই তিন শিশু খেলতে খেলতে টোটোতে উঠতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তারা। দু’জন ছিটকে রাস্তায় গিয়ে পড়ে। সেই সময়েই বাড়ি ফিরছিলেন গোপীনগরেরই বাসিন্দা পানু পাল। দুই শিশুকে রাস্তায় পড়ে গোঙাতে দেখেই ছুটে আসেন তিনি। দেখেন, এক শিশু তখনও টোটোর সঙ্গে আটকে রয়েছেন। কী করবেন বুঝে উঠতে না পারে শিশুটির প্যান্ট ধরে সজোরে টান মারেন। ছোঁয়া মাত্র পানু তড়িতাহিত হলেও টোটোর সঙ্গে সেঁটে থাকা শিশুটিতে ছিটকে রাস্তায় পড়ে। পানুর চিৎকার চেঁচামেচিতেই পড়শিরা সেখানে জড়ো হয়ে ওই তিন শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

পানু ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সরস্বতী পালের দেওর। ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর হলেন পানুর দাদা সঞ্জয় পাল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমার ভাই রাজনীতি করেন না। তবে মানুষের জন্য কাজ করে। আজ ওঁর জন্যই পাড়ার তিনটে শিশু বেঁচে গেছে। না হলে বড় অঘটন ঘটে যেত পুজোর আগে।’’

Hooghly
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy