প্রথমে চড়-থাপ্পড়, তার পরে ঘুষি-লাথি। এক জন নয়, একাধিক পড়ুয়া মিলে শ্রেণিকক্ষের মধ্যে তাদেরই সহপাঠীকে মেঝেতে ফেলে নির্দয় ভাবে পেটাচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া এমন ছবি বৃহস্পতিবার ভাইরাল হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বালিটিকুরি এলাকায়।
অভিযোগ, বালিটিকুরির মুক্তারাম দে হাই স্কুলে শ্রেণিকক্ষে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সৌমিক দাশগুপ্ত আক্রান্ত হয় সহপাঠীদের হাতে। সৌমিকের পরিবারের অভিযোগ, মারধরের জেরে সে বুকে গুরুতর আঘাত পায়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। চিকিৎসার পরে অবশ্য ওই ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে মারধরে অভিযুক্ত তিন পড়ুয়াকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তা নিয়েই পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সৌমিকের পরিবারের দাবি, সহপাঠীরা তাকে ক্লাসে খুব বিরক্ত করে বলে জানিয়েছিল সে। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের জানানোর পরেই সহপাঠীরা সৌমিকের বুকে, পিঠে বেধড়ক লাথি মারে বলে অভিযোগ। সৌমিকের মা মালা দাশগুপ্ত এ দিন জানান, ‘‘স্কুল থেকে শিক্ষকেরা আমাকে ফোন করেছিলেন। স্কুলে গিয়ে দেখি, ছেলে ভয়ে কাঁপছে। শিক্ষকেরাই ওকে প্রথমে বালিটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে একটি নার্সিংহোমে পাঠানো হয়।’’
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রবীর ধওয়ন বলেন, ‘‘আমরা ফুটেজ থেকে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করেছি। তবে ওরা পরীক্ষা দিতে পারবে। যে ছাত্রটি মার খেয়েছে এবং যারা তাকে মেরেছে, দু’পক্ষের অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে বৈঠক করি। বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ মালাও বলেন, ‘‘আমাদের আর অভিযোগ নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমরা বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)