বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার সকালে আরামবাগের গৌরী গ্রামে দু’দলের চার জন জখম হয়েছেন। একাধিক বাড়িও ভাঙচুর হয়েছে। দু’দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগে বিজেপি জিতেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় কাদের আধিপত্য থাকবে, তা নিয়ে ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই ওই গ্রামে বিজেপি এবং তৃণমূলের লোকজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির কয়েক জন চড়ুইভাতি করছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের লোকেদের সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা পল্টু মালিক নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। রীতা ধাড়া, সমীর বাগ, শ্যামল মালিকের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বিজেপির লোকেরা পাল্টা রুখে দাঁড়িয়ে কয়েক জনকে মারধর করলে তারা পালিয়ে যায়।
রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়। তবে, শুক্রবার সকালে দেবব্রত পাল এবং কুশ হাজরা নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে বিজেপির লোকেরা মারধর করে বলে অভিযোগ। দেবব্রতের অভিযোগ, ‘‘মোটরবাইকে বাজারে যাওয়ার সময় ওরা বিনা প্ররোচনায় মারধর করল। ওদের কথা শুনেই নাকি সবাইকে চলতে হবে।’’ অন্যদিকে, বিজেপি নেতা কিঙ্কর পালের দাবি, ‘‘তৃণমূলের লোকেরাই গোলমাল করেছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম থেকে বিজেপিকে উচ্ছেদ করতেই ওরা এ সব করছে।’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘অতিমারিতেও তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের উপরে ভরসা রাখতে না পেরে গ্রামবাসীরা ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।’’ তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি পলাশ রায় বলেন, ‘‘পুলিশকে বলা আছে কোথাও অশান্তি হলে দল না দেখে গ্রেফতার করতে। পুলিশ সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে।’’