এসআইআর-এর শুরু হয়েছে ৪ নভেম্বর থেকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মানুষজনকে সাহায্য করার জন্য ক্যাম্প অফিস করেছে। কর্মসূচি শুরুর আট দিন পরে, মঙ্গলবার হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় তাদের জেলা কার্যালয়ের সামনে ‘নিবিড় ভোটার তালিকা সংশোধনী ২০২৫’ সহায়তা কেন্দ্র শুরু করল। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবাশিস সামন্ত।
এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। আট দিন পরে কেন সহায়তা কেন্দ্র শুরু হল, তা নিয়ে দলেরই একাংশের প্রশ্ন আছে। এই ঘটনায় দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রশ্নের মুখে বলে মনে করছেন দলের এই অংশ। এ নিয়ে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি তৃণমূল। তারা এসআইআর শুরুর দিন থেকেই গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন পার্টি অফিসে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে ক্যাম্প করে মানুষকে এসআইআর ফর্ম ফিলআপে সাহায্য করছে।
বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সাধারণ সম্পাদক রমেশ সাধুখাঁ অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপি মানুষের মনের মধ্যে আছে। তা ছাড়া, বিজেপি মণ্ডল পর্যায়ে গ্রামে গ্রামে সহায়তা বুথ আগে থেকেই করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি বুথ করা হল। গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীরা বিএলএ-২ হিসাবে প্রথম দিন থেকে কাজ করছেন। ফর্ম ফিলআপের জন্য মানুষ বিজেপি কর্মীদেরই ভরসা করছেন। তাই জেলা অফিসে ক্যাম্প করার পর থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল যতই পাড়ায় পাড়ায় শিবির করুক না কেন, মানুষ সেখানে যাচ্ছেন না। কারণ, তাঁরা জানেন, এসআইআর-এর বিরোধিতা গোটা দেশে শুধু তৃণমূলই করছে।’’
এ নিয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি ও উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস বলেন, ‘‘এসআইআর-এর নামে বিজেপি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তারপরেও প্রতিটি বুথে বিএলএ-২ নিয়োগ করতে পারেনি। তারা আবার কী করে ক্যাম্প তৈরি করবে! ওদের সংগঠনে কর্মী কোথায়?’’ তাঁর কটাক্ষ, বিজেপি যখন দেখছে তৃণমূল পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প তৈরি করেছে, তখন সব জায়গা থেকে কর্মীদের জুটিয়ে এনে জেলা কার্যালয়ের সামনে একটি ক্যাম্প করে ঢাকঢোল পেটাচ্ছে!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)