E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্স বিক্রিতে অনিয়ম, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধান

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ চানক, প্রবীর তুরুক জানান, সাধারণ সভায় বাম আমলে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে কেনা অ্যাম্বুল্যান্সটি বিক্রির প্রস্তাব উঠলে তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১০
বিক্রি করা হয়েছে এই অ্যাম্বুল্যান্স।

বিক্রি করা হয়েছে এই অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র।

বাম আমলের অ্যাম্বুল্যান্সটি সংস্কারের দাবি ছিল স্থানীয় মানুষের। তা তো হয় নি, এমন কি পঞ্চায়েত সদস্যদেরও একাংশের আপত্তি সত্ত্বেও অ্যাম্বুল্যান্সটি বেআইনি ভাবে ‘কেজি দরে’ বিক্রি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত গোঘাট-২ ব্লকের বদনগঞ্জ-ফলুই-২-এর পঞ্চায়েত প্রধান হসমত আলি খানের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে নবান্নেও অভিযোগ জানিয়েছেন।

গোঘাট-২-এর বিডিও জয়ন্ত দে বলেন, “বিষয়টি কানে এসেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” আর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরুণকুমার কেওড়া বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। সরকারি সম্পত্তি, বিশেষত অ্যাম্বুল্যান্স এ ভাবে বিক্রি করা যায় কি না সেই নিয়ম জানার চেষ্টা করছি। অন্যায় হয়ে থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ চানক, প্রবীর তুরুক জানান, সাধারণ সভায় বাম আমলে পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে কেনা অ্যাম্বুল্যান্সটি বিক্রির প্রস্তাব উঠলে তাঁরা বাধা দিয়েছিলেন। দাবি জানানো হয়েছিল সংস্কারের। কিন্তু গত ২০ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা নাগাদ প্রধান তা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। দরপত্র ডাকার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি অনুযায়ী ওই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও ঝোলানো হয়নি। এমনকি অ্যাম্বুল্যান্স বিক্রির টাকাও পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলে জমা পড়েনি।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। দুর্গাপদ কাসুন্দি, কালিকাপ্রসাদ সিংহ নামে দুই বাসিন্দা জানান, বদনগঞ্জ-ফলুই ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকার ভরসা ছিল অ্যাম্বুল্যান্সটি। এখন সেটি না থাকলে সমস্যা বাড়বে । এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘অনেক গুণ বেশি গাড়ি ভাড়া দিয়ে এ বার হাসপাতালে যেতে হবে। পঞ্চায়েত আমাদের বড় অসুবিধায় ফেলল।’’

তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান আনন্দ বেজ জানান, তিনি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন। স্থানীয় সিপিএম নেতা সুনীল শালের আক্ষেপ, বলেন, “আমাদের আমলে তৈরি পঞ্চায়েত সম্পদ— গাছ থেকে শুরু করে সবই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।”

তবে পঞ্চায়েত প্রধান হসমত আলি খানের সাফাই, “অ্যাম্বুল্যান্সটি বারবার খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। সাধারণ সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতিতে তা বিক্রি করা হয়েছে। দরপত্রে কোনও অনিয়ম হয়নি। অ্যাম্বুল্যান্স বিক্রির টাকা গত শুক্রবার পঞ্চায়েতের তহবিলে জমা পড়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Goghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy