Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dhaniakhali

TMC: ধনিয়াখালির বিধায়কের নাম করে তোলা আদায়ের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে

ধনিয়াখালি বিধানসভার দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল।

অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রাজীব বসু রায় (বাঁ দিকে), অভিযোগকারী শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল।

অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রাজীব বসু রায় (বাঁ দিকে), অভিযোগকারী শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধনিয়াখালি শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০০:৩৪
Share: Save:

ধনিয়াখালির তৃনমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রর নাম করে শিল্পপতির কাছে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। তোলা না দেওয়ায় কারখানার ইঞ্জিনিয়ারদের মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া বলেও অভিযোগ। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, মুখ্য সচিব, জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং বিধায়ককে মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল। পাশাপাশি ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন মহেশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ধনিয়াখালি বিধানসভার দাদপুর থানা এলাকার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে লজিস্টিক হাব ও রিসর্ট নির্মাণ করছেন শিল্পপতি মহেশ আগরওয়াল। কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে সেখানে। মহেশের অভিযোগ, পুজোর সময় এলাকার তৃণমূল কর্মী রাজীব বসু রায় ওরফে চ্যানকা তাঁর কাছে পঞ্চাশ হাজার টি শার্ট দাবি করেন। একটি টি সার্টের দাম সত্তর টাকা করে হলেও পঞ্চাশ হাজারের দাম পঁয়ত্রিশ লাখ টাকা হয়। গত ২৮ অক্টোবর কারখানা সাইটে গিয়ে সেই টাকা দাবি করে হুমকি দেন, এক দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বলপ্রয়োগ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখাবেন। শিল্পপতি তাতে কর্নপাত করেননি। ২৯ অক্টোবর সকালে রাজীব তাঁর দলবল নিয়ে আসেন। সাইটে যাঁরা কাজ করছিলেন সেই কর্মীদের বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এমনকি পীযূষ কান্তি পোড়েল,তন্ময় বারিক ও সুদীপ সরকার নামে তিন জন ইঞ্জিনিয়ারকে তুলে নিয়ে যান রাজীব ও তাঁর দলবল। সঙ্গে হুমকি দিয়ে যান, টাকা দিলে তবেই ইঞ্জিনিয়ারদের ছাড়া হবে।

এর পরই বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানান শিল্পপতি মহেশ। তাঁর দাবি, বিধায়ক অসীমা পাত্রর নাম ভাঙিয়ে আমার কাছে তোলা চাইতে আসতেন রাজীব। আমার সন্দেহ হয়েছিল। বিধায়ককে ফোন করেছিলাম কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধায়কের বদনাম করতে এ সব কাজ করছে কিছু লোক।”

অন্য দিকে এ প্রসঙ্গে বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, “ঘটনার কথা কিছু জানতাম না। থানা থেকে জানতে পারি বিষয়টি। আমার নাম করে কে কী করছে সেটা দেখা সম্ভব নয়। আমার নাম ভাঙিয়ে যখন কেউ টাকা চাইল তখন আামকে জানানো হল না কেন? আমি পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলব।” হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “ এই ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dhaniakhali TMC money extortion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE