উদ্ধার হওয়া কালাচ। — নিজস্ব চিত্র।
সাপের ডেরা হয়েছিল হুগলির চন্দননগরের ফ্রেঞ্চ মিউজিয়াম। সেখান থেকে উদ্ধার করা হল দু’টি বিষধর কালাচ। গঙ্গার ধারে চন্দননগরের ওই জায়গায় কালাচের মতো সাপ কী ভাবে এল তা নিয়ে ধন্ধে সর্পবিদরা।
কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনাকাল থেকে বন্ধ হয়ে পড়েছিল চন্দননগর স্ট্র্যান্ড এলাকার দুপ্লে প্যালেস বা ফরাসি মিউজ়িয়াম। ফরাসি আমলের নানা নিদর্শন রয়েছে সেই মিউজ়িয়ামে। দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা যান তা দেখতে। প্রায় ৩ বছর ধরে সেই মিউজ়িয়ামের কয়েকটি ঘর বন্ধ হয়ে পড়েছিল। তৈরি হয়েছিল জঙ্গলও। গত বছর ফ্রেঞ্চ মিউজ়িয়ামের অধিকর্তা পদে বহাল হন চন্দননগর দুপ্লে কলেজের ফরাসি ভাষার অধ্যাপক বাসবী পাল। দায়িত্ব নেওয়ার পর মিউজ়িয়াম এবং আশপাশ সাফাইয়ের উদ্যোগ নেন তিনি। মিউজ়িয়ামের যে ঘরগুলি বন্ধ ছিল তা খুলে দেখা যায় ধুলো এবং আবর্জনার মধ্যে রয়েছে সাপের কয়েকটি খোলসও।
এর পর ডাক পড়ে ওই এলাকার সর্পবিশারদ চন্দন ক্লেমেন্ট সিংহের। ওই ঘরগুলি থেকে দু’টি কালাচ সাপ উদ্ধার করেন ক্লেমেন্ট। চন্দন বলেন, ‘‘এই মিউজ়িয়াম খোলার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। ঘরে ঘুরতে ঘুরতে দেখি সাপের খোলস পড়ে রয়েছে। তা দেখে বুঝতে পারি এগুলি কালাচের খোলস। তার পর রাতে ছিলাম। ওত পেতে থেকে দু’টি কালাচ উদ্ধার করেছি। এই সময়টা কালাচের প্রজননের। এখন ওরা ডিম পাড়ে। এটা ওদের থাকার জায়গা নয়। কিন্তু কী ভাবে এখানে এল তা জানি না। এই সাপ কামড়ালে প্রাথমিক ভাবে বোঝা যায় না। সাধারণ মানুষের সতর্ক থাকা উচিত।’’
বাসবী বলেন, ‘‘ফ্রেঞ্চ ইনস্টিটিউটে পড়ুয়ারা ছেলেমেয়েরা সন্ধ্যায় ক্লাস করতে আসে। এ ছাড়া বহু মানুষ আসেন সংগ্রহশালা দেখতে। তাঁদের নিরাপদে রাখার জন্য সাপ তাড়ানো দরকার। চন্দন আমাদের খুব সাহায্য করেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy