প্রতীকী ছবি।
হাওড়ায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। শহর থেকে এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে পুরোপুরি করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হল। ফলে, বাড়ল শয্যাও। আজ, রবিবার থেকে সেখানে শুধুমাত্র করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা হবে। একইসঙ্গে গ্রামীণ হাসপাতালের অন্যত্র কোভিড শয্যা বাড়ানো-সহ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়ের নেতৃত্বে উলুবেড়িয়ায় একটি বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা, গ্রামীণ এলাকার বিধায়কেরা এবং সাংসদ সাজদা আহমেদ। তাতেই উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে পুরোপুরি করোনা চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত হয়। পুলকবাবু বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে পরিস্থিতি বুঝে আরও নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
সুপার স্পেশালিটিতে মোট শয্যা ২০০। এতদিন তার মধ্যে ৮০টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। শনিবারের সিদ্ধান্তমতো বাকি ১২০টি শয্যাতেও সংক্রমিতদের চিকিৎসা হবে। প্রয়োজনে শয্যাসংখ্যা বা ড়িয়ে ৩০০ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। এ দিন থেকেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত নন, এমন রোগীদের পাশের মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা শুরু হয়ে যায়।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সংক্রমণ মোকাবিলায় উলুবেড়িয়া ইএসআই হাসপাতালের করোনা শয্যা বাড়িয়ে ১০০ থেকে ১৫০ করা হচ্ছে। উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল এবং গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালেই করোনা শয্যা রয়েছে ২০টি করে। তা বাড়িয়ে ৫০টি করে করা হচ্ছে। ফুলেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে এতদিন ১০০ শয্যায় করোনা চিকিৎসা চলছিল। তা বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে। তবে, এখানে ভর্তি হতে হবে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে।
এ ছাড়া হাওড়ার ১৪টি ব্লকেই একটি করে সেফ হোম এবং কোভিড-দেহ সৎকারের জন্য একটি করে শ্মশান ও কবরস্থান করা হবে। উলুবেড়িয়া পুর এলাকায় কোভিড-দেহ সৎকারের জন্য মহিষরেখায় ‘বৈতরণী’ প্রকল্পে নির্মিত একটি শ্মশানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বাগনান-১ ব্লকের করোনায় মৃতদের দেহও সৎকার করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy