E-Paper

রাস্তার কাজে খেতের মাটি, আপত্তি কানপুরে

রাস্তাটি স্থানীয় বলরামপুর থেকে গৌরহাটি মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিমি বিস্তৃত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৫ ০৬:০১
খেতে মাটি কাটা নিয়ে ঝামেলা।

খেতে মাটি কাটা নিয়ে ঝামেলা। নিজস্ব চিত্র।

চাষিরা জানান, সামনে বর্ষায় আমন ধান চাষের সময়। এই অবস্থায় রাস্তার গায়ে দু’দিকের জমিতে গর্ত করে মাটি নেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। চাষিদের আশঙ্কা, ওই সব গর্তে জল জমে থাকলে ফসল নষ্ট হবে। আবার এই কম সময়ের মধ্যে অন্য জমি থেকে মাটি এনে জমিও সমান করা যাবে না। তাঁদের দাবি, মাটি অন্য জায়গা থেকে আনা হোক।

রাস্তাটি স্থানীয় বলরামপুর থেকে গৌরহাটি মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিমি বিস্তৃত। বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে রাস্তাটি পাকা হচ্ছে জানিয়ে জেলা পরিষদের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অক্ষয় ভৌমিক বলেন, “সমস্যা মেটাতে সোমবার ব্লক অফিসে গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। সরকারি বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে গ্রামোন্নয়নের কাজগুলিতে মাটি কেনা বা জমি নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। কৃষক স্বেচ্ছায় জমি এবং মাটি দিলে সেখানে রাস্তা হয়।” মাধবপুর পঞ্চায়েতের প্রধান খাদেমূল ওয়াহাব বলেন, “এলাকার কৃষকদের দাবি ঠিক কি না, জানি না। তবে, গ্রামীণ রাস্তা উন্নয়নের কাজ এ ভাবেই হয়। গ্রামোন্নয়নের স্বার্থে তাঁদের দাবি থেকে সরে আসতেও অনুরোধ করেছি।”

জেলা পরিষদের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আরও জানান, ১৩ কিমি রাস্তাটির মধ্যে ১১ কিমির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। মাঝে দু’কিলোমিটারের কাজে বাধা পড়ছে বারবার। বোরো চাষের সময় চাষিদের দাবি ছিল, ফসল তুলে নেওয়ার পরে রাস্তার কাজ হোক। রাজ্য জুড়ে এ ধরনের কাজগুলিতে সংশ্লিষ্ট রাস্তার গায়ের জমি থেকেই অল্প মাটি তুলে নেওযা হয়। সাধারণত একবার চাষ দিলেই জমি ঠিক হয়ে যায়।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kanpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy