গৃহস্থের বাড়ির শৌচাগারে ঢুকে পড়া একটি বাঘরোলকে (মেছোবিড়াল বা ফিশিং ক্যাট) উদ্ধার করলেন বন্যপ্রাণপ্রেমী ও বনকর্মীরা। বন দফতরের তত্ত্বাবধানে সেটিকে ফের ফিরিয়ে দেওয়া হল মুক্ত পরিবেশে, সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার উলুবেড়িয়া থানার অন্তর্গত পীরপুর মালিকপাড়ায়। ঘটনাচক্রে, ‘বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস’-এ।
বাড়িতে বাঘরোল ঢুকে পড়ার খবর বাগনান কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী মানসী দোলুই দিয়েছিলেন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামাণিক এবং সুমন্ত দাসকে। তাঁরা গিয়ে দেখেন একটি পূর্ণবয়স্ক মেছোবিড়াল স্থানীয় গ্রামবাসী উত্তম মালিকের বাড়ির শৌচাগারে ঢুকে গিয়েছে। বাঘরোল দেখে গ্রামবাসীদের একাংশ ‘বাঘ বাঘ’ করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু চিত্রক ও সুমন্ত তাঁদের নিরস্ত করেন।
আরও পড়ুন:
এর পর বনবিভাগে খবর দেওয়া হয়। ঘন্টাখানেক পরে গড়চুমুক থেকে বনবিভাগের উদ্ধারকারী দল আসে। অনেক কষ্টে ভিড় সামলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণীটিকে উদ্ধার করা হয়। গ্রামের অধিকাংশ লোকজন প্রথমে চেয়েছিলেন বাঘরোলটি যাতে চিড়িয়াখানায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়। কিন্তু বনকর্মী এবং পরিবেশপ্রেমীরা এলাকার জলাভূমির বাস্তুতন্ত্রে বাঘরোলের গুরুত্ব বোঝান। সবটা শোনার পরে এলাকার ছাত্রছাত্রীরা মেছোবিড়ালটিকে গ্রামেই ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে থাকে। অবশেষে গ্রামবাসীরা রাজি হওয়ায় স্থানীয় রেঞ্জ অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় ব্লক পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে একজন পশু চিকিৎসক আসেন এবং মেছোবিড়াল টিকে পর্যবেক্ষণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ বলে জানানোর পরে সেটিকে অদূরের খড়িবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।