গোঘাটের ভাদুরে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ চালকদের। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
গ্রামীণ রাস্তাগুলিতে টোল আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন লরি এবং ট্রাক্টর চালকরা। মঙ্গলবার সকালে গোঘাট-১ ব্লকের ভাদুর পঞ্চায়েত এলাকার এই বিক্ষোভ সামিল হলেন এলাকার বাসিন্দারাও। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত টোল আদায় না করার দাবিও জানানো হয়।
ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলে টোল আদায় আপাতত বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে। গোঘাট-১-এর বিডিও সুরশ্রী পাল বলেন, “পঞ্চায়েত বিধিবদ্ধ ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই টোল আদায় শুরু করেছিল। লরি এবং ট্রাক্টর চালকরা আপত্তি তোলায় তা এ দিন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। প্রধানকে বলেছি, তাঁদের সঙ্গে বসে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে।’’
ভাদুরের পঞ্চায়েত প্রধান শান্তিনাথ রায় বলেন, “ওই উপশুল্ক পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল মজবুত করার অন্যতম উৎস। তা সত্ত্বেও কোভিড পর্বে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ফের টোল আদায় চালু করা হবে।’’
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বারকেশ্বর নদ সংলগ্ন এই পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু বালি খাদান এবং ইটভাটা আছে। সেই সব বালি এবং ইটভাটার সঙ্গে সংযোগকারী ৪টি গ্রামীণ রাস্তা ভাদুর মোড় থেকে মেথুল, মকদমতলা, ভাবাপুর এবং আদরা থেকে টোল আদায়ের ব্যবস্থা হয়েছিল বাম আমল থেকেই। গত দু’বছর টোল আদায় বন্ধ ছিল। সম্প্রতি যে দরপত্র ডাকা হয়েছিল তাতে বছরে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয় ওই চারটি রাস্তা। ইজারাদার আব্দুস সাত্তার জানান, ট্রাক্টর পিছু মাত্র ৩০ টাকা এবং লরি পিছু ৬০ টাকা টোল ধার্য করা হয়েছে।
এ দিন প্রথমে মেথুলের রাস্তায় টোল আদায়কে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। পরে ফের চারটি গ্রামীণ রাস্তা থেকে ভাদুর মোড়ে ঢোকার মুখে টোল আদায়ের চেষ্টা হলে সেখানেও বিক্ষোভ হয়। শেখ ইসরাফিল নামে এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, “কোভিড পর্বে পরিবহণ ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ফের টোল ব্যবস্থা চালু করছে। আপত্তি জানিয়ে পঞ্চায়েত, ব্লক এবং মহকুমাশাসকের কাছে আবেদনও করেছি গত সোমবার। তা সত্ত্বেও এ দিন সকাল থেকে জোর করে টোল আদায়ের প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy