E-Paper

রামের মূর্তি বিসর্জনে অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা

বিরোধিতা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বেণু সেন বলেন, ‘‘অস্ত্র মিছিল নিষিদ্ধ। বিজেপির কিছু নেতাকর্মী এতে উৎসাহ দিয়েছেন। আসলে বিজেপি চায় রাজ্যটাকে অশান্ত করতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১০:০২
চলছে শোভাযাত্রা।

চলছে শোভাযাত্রা। নিজস্ব চিত্র।

অস্ত্রের ঝনঝনানি থামছে না কিছুতেই। রামের মূর্তি বিসর্জনেও চলল অস্ত্র নিয়ে শোভাযাত্রা। রবিবার বাউড়িয়ার ঘটনা। এ দিন বিকেলে বাউড়িয়া থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে মূর্তি নিয়ে মিছিল শুরু হয়। প্রায় ৪ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে এই মিছিল। মিছিলে দেখা গেল, কয়েকশো যুবক তরোয়াল, গদা নিয়ে উল্লাস করছেন।, কেউ আবার তরোয়াল রাস্তার মধ্যে ঘষে আগুন জ্বালাচ্ছেন।

স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপি রায় বলেন, ‘‘প্রতি বছর শ্যামাপ্রসাদ স্মৃতি সমিতির পক্ষ থেকে রাম পুজো হয়। জাঁকজমক করে শোভাযাত্রা করে বিসর্জন হয়। মানুষ আবেগে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে বেরিয়েছেন।’’ তাঁর দাবি, উদ্যোক্তাদের তরফে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা কেউ
শুনতে চাননি।

এর বিরোধিতা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বেণু সেন বলেন, ‘‘অস্ত্র মিছিল নিষিদ্ধ। বিজেপির কিছু নেতাকর্মী এতে উৎসাহ দিয়েছেন। আসলে বিজেপি চায় রাজ্যটাকে অশান্ত করতে। প্রশাসনকে বলব, সকলকে চিহ্নিত করে আইনি
ব্যবস্থা নিতে।’’

সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, পুলিশ থাকার পরেও এত অস্ত্র এল কোথা থেকে। এ দিন শোভাযাত্রার উদ্যোক্তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পুলিশও। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বহুবার আয়োজকদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। মাইকে প্রচার করা হয়েছে। অস্ত্র নিয়ে মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও কয়েক জন দেখলাম অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

শনিবার সমাজ মাধ্যমে প্ররোচনামূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এই এলাকারই এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার তাকে উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ছ’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bauria

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy